মহাকাশে এখনও নিজেদের পরবর্তী প্রজন্মের রকেট স্টারশিপের উৎক্ষেপণ শুরু না করলেও এরইমধ্যে রকেটটির চন্দ্রযাত্রার উদ্দেশ্যে বুকিং নিতে শুরু করেছে স্পেসএক্স। আর সম্ভাব্য ওই অভিযানে রকেটে চেপে বসতে পারে একটি ‘এসইউভি আকারের রোভার’ মহাকাশযানও। গত শুক্রবার স্টার্টআপ কোম্পানি ‘অ্যাস্ট্রোল্যাব’ জানিয়েছে, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে একটি যাত্রিবিহীন স্টারশিপ কার্গো মিশন পরিচালনার উদ্দেশ্যে সম্প্রতি তারা ইলন মাস্কের রকেট কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে। খবর বিডিনিউজের।
মার্কিন বাণিজ্য প্রকাশনা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে অ্যাস্ট্রোল্যাব সিইও জ্যারেট ম্যাথিউস বলেন, চন্দ্রপৃষ্ঠের উদ্দেশ্যে স্পেসএক্সের প্রথম বাণিজ্যিক কার্গো চুক্তি এটি। এই মহাকাশযাত্রায় থাকা কিছু সংখ্যক গ্রাহকের একটি হলো তার কোম্পানি। অ্যাস্ট্রোল্যাব এমন এক মহাকাশযান তৈরি করছে, তাদের ভাষ্যমতে যা একদিন গোটা চন্দ্রপৃষ্ঠজুড়ে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল ও মানুষ বহন করবে।
‘ফ্লেঙিবল লজিস্টিঙ অ্যান্ড এঙপ্লোরেশন (ফ্লেঙ)’ নামের ওই রোভার যানের আকার প্রায় একটি ‘জিপ র্যাঙ্গলার’ গাড়ির সমান, এমনকি মঙ্গলগ্রহে অবস্থান করা নাসার ‘পারসিভারেন্স’ রোভারের চেয়েও আকারে কিছুটা বড়। কার্গোকে সহায়তার উদ্দেশ্যে এতে একটি রোবটিক বাহু থাকবে। আর প্রতি ঘণ্টায় এটি ২৪ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করতে পারবে। পাশাপাশি, এতে দুইজন নভোচারী বহন করা যাবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
এই মহাকাশযানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ম্যাথিউস বলেন, চাঁদ ও এর দূরবর্তী জায়গাগুলোতে মানুষের স্থায়ী বসতি নির্মাণে সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে ফ্লেঙ।