নতুন বছরের পাঠ্যপুস্তক হাতে আসার পর থেকে ভুল নিয়ে আলোচনার মধ্যে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দুটি বই প্রত্যাহার এবং তিনটির সংশোধনের পর এবার নতুন সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ দুই শ্রেণির সব বইয়ে সংশোধনী আসছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) তরফে এখন নতুন করে জানানো হয়েছে, এ দুই শ্রেণির সব বইয়েই ভুল ও তথ্যগত অসঙ্গতিগুলোতে সংশোধনী আনা হচ্ছে, যা ঈদের পরই পৌঁছে যাবে শিক্ষার্থীদের কাছে। খবর বিডিনিউজের।
এ বিষয়ে এনসিটিবি সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, সংশোধনী আসবে এটি আমরা শুরু থেকেই বলেছি। এটা একটা পরীক্ষামূলক সংস্করণ। আগামী বছরে আমরা সব বইয়ে পুরো পরিমার্জন করে দেব। ২০২৩–এর জন্য যেগুলো গেছে সেগুলোর জন্য বানান ভুল বা তথ্যগত ভুল থাকলে সেটিও সংশোধন করে দেওয়া হচ্ছে। রোজার মধ্যেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সংশোধনীগুলোর সফট কপি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। শিক্ষার্থীরা যা ছুটি শেষে স্কুল খোলার পর পাবে।
পরীক্ষা ও মুখস্ত নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে নতুন শিক্ষাক্রমে যাওয়ার কথা বলছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে এ বছর প্রাথমিক স্কুলে প্রথম শ্রেণি এবং মাধ্যমিকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমের পরীক্ষামূলক বইয়ে পাঠদান শুরু হয়েছে। আগামী বছর তা শুরু হবে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। এরপর ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতেও নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। আগামী বছর থেকে নবম শ্রেণিতে গিয়ে আর বিভাগ অনুযায়ী ভাগ হবে না। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শাখার বদলে সবাই মাধ্যমিকে একই পাঠ্যপুস্তক পড়বে। বিভাগ আলাদা হবে উচ্চ মাধ্যমিকে গিয়ে।
শিক্ষার্থীদের হাতে কীভাবে এসব সংশোধনী যাবে তা ব্যাখ্যা করে এনসিটিবি সদস্য অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, সংশোধনীগুলো অনলাইনে মাউশির মাধ্যমে সব স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে পৌঁছে যাবে। প্রধান শিক্ষক তা শ্রেণি শিক্ষককে দেবেন। ধরা যাক বাংলা বইয়ে কোনো সংশোধনী থাকলে শ্রেণি শিক্ষক সংশোধনী দেখে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বলবেন বইয়ের এত নম্বর পৃষ্ঠায়, এই শব্দের বানান এ রকম লেখা আছে, এটি এ রকম হবে। এটা তিনি বোর্ডে লিখেও জানিয়ে দিতে পারেন।