বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতির ব্যয় মেটাতে সরকার দফায় দফায় দাম বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। গতকাল বুধবার বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ইউনিয়ন পর্য়ায়ের নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময় সভায় ১ মার্চ থেকে বিদ্যুতের দাম আবার বাড়ানোর প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব এমন অভিযোগ করেন।
কয়েক মাসের মধ্যে তিনবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে মন্তব্য করে তার অভিযোগ, বিদ্যুৎখাতে যে দুর্নীতি করেছে– সেই দুর্নীতির জন্য যে পরিমাণ খরচ–ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই ব্যয় মেটানোর জন্য তাদের (সরকার) এখন জনগণের পকেট থেকে টাকা কেটে নিতে হবে। সেই কারণে তারা আজকে বিদ্যুতের দাম দফায় দফায় বাড়াচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।
ফখরুল বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে অর্থনীতিতে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তাতে করে আমাদের সমস্ত উৎপাদন বেড়ে যাচ্ছে। কল–কারখানার উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। মানুষের সহজ জীবনযাপনের খরচ বাড়ছে, জীবনের ওপর চাপ পড়ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে চাল–ডাল–তেল–লবণ প্রতিটির মূল্য ভয়ানকভাবে বেড়ে গেছে। প্রায় তিনগুণ, চারগুণ, পাঁচগুণ থেকে এখন ৫৯ ভাগ বেড়েছে। অথচ দেখেন, দেশের মানুষ যখন চালের জন্য টিসিবির ট্রাকের সামনে লাইন দিচ্ছে, দাঁড়িয়ে থাকলে এক মাইল লম্বা লাইনে, মানুষ যখন খাদ্যের জন্য হাহাকার করছে, সারা দেশে মানুষের মধ্যে যখন অস্বস্তিকর হাহাকার পরিস্থিতি প্রায় দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সেই সময়ে আমাদের অনির্বাচিত অবৈধ প্রধানমন্ত্রী তিনি রাষ্ট্রপতির দেশের বাড়ি হাওর এলাকায় গেছেন এবং সেখানে একটি উৎসব হচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমাদের যে মানুষগুলো এখন খাদ্যের অভাবে ভুগছে, চাল পাচ্ছে না। সেই মানুষগুলোর সঙ্গে এটা একটা রসিকতা বা তামাশা করা হচ্ছে। এটা দেশের মানুষ কোনোদিন ক্ষমা করবে না। এটা আমাদেরকে আরেকটা সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। পুরনো বয়োজ্যেষ্ঠ যারা আছেন ১৯৭৪–৭৫ সালে তখনও কিন্তু সেই সময়ের রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান ছিলেন তখনও কিন্তু তাদের দুর্নীতির কারণে, তাদের অব্যবস্থার কারণে সেদিনও দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, লক্ষ লক্ষ মানুষ না খেতে পেরে মারা গিয়েছিল।