চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক একটি গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী হল মাঠে সংঘর্ষ বাধে বিজয় গ্রুপের সাখাওয়াত হোসেন ও আল আমিনের অনুসারীদের মধ্যে।
এসময় দুই পক্ষের কর্মীদের হাতে রামদা ও লোহার পাইপ দেখা যায়। তারা ইটপাটকেল ছোঁড়াছুড়িও করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হাসান মুহাম্মদ রোমান বলেন, “আলাওল ও এ এফ রহমান হল থেকে কয়েকজন সোহরাওয়ার্দীতে আক্রমণ করে প্রভোস্টের রুম, অফিস কক্ষ এবং শিক্ষার্থীদের একটি রুম ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে গুরুতর আহত কাউকে পাওয়া যায়নি।”
এর আগে একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরেও এই দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছিল।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিকালে সোহরাওয়ার্দী হলের মাঠে খেলছিলেন সাখাওয়াতের অনুসারীরা। সাড়ে ৫টার দিকে আলাওল ও এ এফ রহমান হল থেকে আল আমিনের অনুসারীরা লাঠিসোঠা নিয়ে এসে তাদের ধাওয়া দেয়। এসময় সাখাওয়াতের অনুসারীরা হলে গিয়ে লাঠিসোটা নিয়ে মাঠে ফিরলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। তার আগেই সোহরাওয়ার্দী হলের কয়েকটি কক্ষে ভাঙচুর চালায় আল আমিন গ্রুপের কর্মীরা।
ভাঙচুর হওয়া কক্ষগুলোতে থাকেন সাখাওয়াত হোসেনের অনুসারীরা।
সাখাওয়াত বলেন, “মূলত এখানে হলের টেন্ডারের টাকা নিয়ে জুনিয়রদের উসকানি দেওয়া হচ্ছে। আজ সোহরাওয়ার্দীর মাঠে জুনিয়ররা খেলার সময় তারা (আল আমিনের অনুসারীরা) কেন্দ্রীয় মসজিদের দিক থেকে অতর্কিত হামলা করে।”
এ বিষয়ে জানতে বিজয় গ্রুপের আরেক পক্ষের নেতা আল আমিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ শিপক কৃষ্ণ দেব নাথ বলেন, “আজ শুক্রবার বিকালে কিছু ছেলেপেলে সোহরাওয়ার্দী হলে আক্রমণ করেছিল। তারা আমার কক্ষসহ মোট ৮টা কক্ষ ভাঙচুর করেছে।”