বর্তমানে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা মহামারিতে রূপ নিয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর দেশে প্রায় সাড়ে সাত হাজার সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। আর এতে প্রায় সমানসংখ্যক মানুষ মারা যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু থেকে মুক্তির পথ কী? নিরাপদ সড়কের জন্য নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (নিসআ), রোড সেফটি ফাউন্ডেশন, যাত্রীকল্যাণ সমিতিসহ আরো অনেক সংগঠন কাজ করছে। আমরা দেখেছি, ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজপথে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। সেই আন্দোলনে সাধারণ মানুষও যোগ দিয়েছিল। এখনো কেউ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাস্তায় উপস্থিত হয় প্রতিবাদ করার জন্যে। কথা হচ্ছে, যে শিক্ষার্থীদের স্কুল কিংবা কলেজে থাকার কথা তাকেই তো সমাজ বাধ্য করছে, বিবেক বলছে যে আর কত মৃত্যুর সাক্ষী হতে হবে? শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ‘সড়ক পরিবহন আইন–২০১৮’ দ্রুততার সাথে সংসদে পাশ করে। আইনটি ২০১৮ সালে সংসদে পাস হওয়ার পরও এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
ফলে সড়ক নিরাপদ হওয়ার সেই স্বপ্ন এখনো অন্ধকারেই থেকে গেলো। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে প্রকৌশলগত ত্রুটি অপসারণের পাশাপাশি আইনের বাস্তবায়ন এবং সড়ক ব্যবহারকারীদের সচেতনতা তিনটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। এ বাস্তবতায় জনসচেতনতা তৈরিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। সড়ক নিরাপদ করতে সবার একসঙ্গে কাজ করতে হবে কারণ আমরা প্রত্যেকেই সড়কের ব্যবহারকারী। তাই আসুন, নিজে সচেতন হই, অপরকে সচেতন করি এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলি; তবেই পূরণ হবে আমাদের নিরাপদ সড়কের প্রত্যাশা ও স্বপ্ন।