তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মন্দাপীড়িত বিশ্বে মানুষের কল্যাণই সর্বাগ্রে। সে কারণে ইভিএম প্রকল্পে ১ মিলিয়ন ডলার ব্যয় না করে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষে যতগুলো আসনে ইভিএম করা সম্ভব, আমরা সেটাই মেনে নেবো।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভার প্রস্তুতি উপলক্ষে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গতকাল শনিবার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইভিএম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলছি। আমরা অবশ্যই চাই ইভিএমের (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) যে আধুনিক প্রযুক্তি এখন বিশ্বে ব্যবহার হয়, যেখানে কারচুপি বা অন্য কোনো সুযোগ নেই, সেটি ব্যবহার করতে। দেশে খালেদা জিয়ার সময় যে শ্লোগান ছিল ‘দশটা হোন্ডা, বিশটা গুন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা’, এগুলো বন্ধ করার জন্য আমরা ইভিএম চেয়েছি।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ইভিএম পদ্ধতির জন্য পৌনে নয় হাজার কোটি টাকা অর্থাৎ প্রায় এক মিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছে, যেহেতু ইভিএমগুলো কিনতে হবে, কিন্তু এই বিশ্বমন্দা অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে এই প্রকল্প পাশ করে ইভিএম কেনা সমীচীন নয়, কারণ এই সময়ে আমাদের কাছে মানুষের অন্যান্য কল্যাণ অগ্রাধিকার। তাই আমরা চাইলেও বাস্তবতার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন যদি সব আসনে ইভিএমে ভোট করতে না পারে, যে কয়টি আসনে করতে পারুক, আমরা সেটা মেনে নেবো।