শীতে কাঁপছে বার্ধক্য পৃথিবী
শৈত্যপ্রবাহে কাঁপে শহর, গ্রাম, অলি–গলি
চলো ভালোবাসার বাঁটোয়ারায় মাতি।
উত্তাপহীন, আলোহীন, স্যাঁতসেঁতে ঘরে
হাড্ডিসার চামড়ার ভাঁজে অনিবার্য দুর্দশা,
চলো পাশে যাই আর ভালোবাসার উত্তাপ ছড়াই,
চলো মেতে উঠি অপার মানবতায়।
ফুটপাতে গভীর রাতে শুয়ে আছে যারা,
চটের বস্তা গায়ে!
চলো মমতার হাত বুলাই, দানে ও দাক্ষ্যিণ্যে!
পিঠে, পার্বণ, পৌষ মেলা? কষ্টকে ধারণ করে নয়!
চলো আগে কষ্ট কমাই,
ছাই রঙা কুয়াশার হিংস্র নাচনে সর্বত্র বিরাজ করে
হিমঠাণ্ডার সুপ্রাচীন সংগীত, এসো হাত বাড়াই
প্রার্থনা হোক আজ উষ্ণতার,
শুভ চৈতন্য বোধ জাগ্রত হোক আমাদের চেতনার কোষে কোষে
আবেদন সূর্যের কাছে! তুমি হও নির্ঝরিণী জাহ্নবীর পুণ্যপ্রবাহ!
উষ্ণতায় মুছিয়ে দাও বৈষম্যের পঙ্কিলতা,
হে পরিব্রাজক সূর্য! শীতলতা মুছে উত্তাপ দাও,
তীব্র শৈত্য নখর নিয়ে শীত নামে আকাশের সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে,
বিরাজে সর্বত্র আনাচ কানাচ!
হোটেল বয়ের নিষ্পাপ অবয়বে হিমেল তুলি আঁকে
নিষ্ঠুর মানচিত্র, ফাটা ঠোঁটে রক্ত গড়ায়,
চলো উদার হই, মেতে উঠি দানে দাক্ষিণ্যে।
বিশীর্ণ, কঞ্চি শরীরী কিশোরী, হাসিতে তার এক শতাব্দীর পূর্ণিমা,
তাকে ও মেরেছে শৈত্য থাবা,
নড়বড়ে শিশু, ন্যূব্জ দেহ বৃদ্ধ, হতশ্রী যুবতী তাবৎ
দুর্বলেরা আজ অসহায় হে প্রকৃতি,
ওদের স্বপ্ন আজ উঠোন ভরা চাপিলার মত রোদ।
চলো পরিশুদ্ধ হই! শীতার্তদের পাশে দাঁড়াই!
চলো মুঠো মুঠো দানে দাক্ষিণ্যে দয়ালু হই,
আত্মতুষ্টির জলে জীবন ধুয়ে নিয়ে
চলো সবাই মিলে মানবতাকে করি জাগ্রত।
        











