পাবলিক প্লেসে ধূমপান নয়, গড়ে তুলি প্রতিরোধ

শারমিন মুস্তারী নাজু | শুক্রবার , ২০ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ

বলা হয়ে থাকে ধূমপানে বিষপান। বিশ্বে ধূমপানে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। যা বাংলাদেশের মতো ছোট একটা দেশের জন্য রীতিমতো হুমকিস্বরূপ। যদিও ধূমপান খুব কমন একটা বিষয়। অনেকেই ধূমপান করে যা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। সেই ধূমপান করা নিয়ে কারো কোনো কথাও থাকে না। তবে সমস্যা অন্য জায়গায়, সেটা হচ্ছে পাবলিক প্লেসে ধূমপান করা নিয়ে। আপনি মজা পান কিংবা আপনি অভ্যস্ত অথবা যে কারণেই হোক আপনি ধূমপান করেন, করতেই পারেন সেটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত বিষয়।

কিন্তু পাবলিক প্লেসে একজন নন স্মোকারের কাছে কিংবা সে আপনার ধূমপানের ধোঁয়া বা গন্ধতে বিরক্ত হয়, এমনভাবে আপনি ধূমপান করতে পারেন না। এর চেয়েও বড় বিষয় ধূমপানে আপনি নিজের শারীরিক ক্ষতি তো করছেনই সেই সাথে যে মানুষগুলো আপনার আশেপাশে থাকছে সেই মানুষগুলোও বিনা দোষে আপনারই ধূমপানের কারণে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ইদানীং এই বিষয়টা খুব বেশি দেখা যায় পাবলিক ট্রান্সপোর্টগুলোতে। পাবলিক প্লেসে ধূমপান করা নিয়ে কিন্তু দেশে আইন এবং জরিমানারও ব্যবস্থা আছে কিন্তু আমরা অধিকাংশই সেটা জানি না।

আইন অনুযায়ী পাবলিক প্লেসে ধূমপান করার জন্য ৩০০ টাকা জরিমানার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এদেশে আইন থাকলেও যেন তার চেয়েও বেশি রয়েছে আইন ভাঙার প্রতিযোগিতা। নেই আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং প্রচারণা। বরং যে পাবলিক প্লেসে ধূমপান করে অন্যায় করছে তাকেও সচরাচর কিছু বলি না কোনো উচ্চবাচ্য হতে পারে সেই ভয়ে। কথায় আছে, ‘অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা তারে তৃণ সম দহে।’

এভাবে সবাই যদি চুপ করেই অন্যায়কে সায় দিয়ে যায় তাহলে সত্যিই সমাজের যে পরিবর্তনগুলোর কথা আমরা বলি সেটা সম্ভব? বরং পাবলিক প্লেসে ধূমপান প্রতিরোধে প্রয়োজন আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং সচেতনতা সৃষ্টি, প্রয়োজন সঠিক সময়ে প্রতিবাদ। আসুন আমরা সকলে মিলে পাবলিক প্লেসে ধূমপানের বিরুদ্ধে নিজে সচেতন হই, অন্যকে সচেতন করি এবং গড়ে তুলি প্রতিরোধ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমানবতা তুমি জাগো
পরবর্তী নিবন্ধবীর মুক্তিযোদ্ধার সামাজিক নিরাপত্তা ও উত্তরাধিকারীর কল্যাণ