পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা

| রবিবার , ৮ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স তিন মাস ৬ দিন পর আবারও খোলা হয়েছে। এরপর গণনা করে রেকর্ড ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার (৭ জানুয়ারি) রাত পৌনে ৮টার পর গণনা শেষে দানের টাকার এ হিসাব পাওয়া যায়। কিশোরগঞ্জের

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, সকালে মসজিদের ৮টি দানবাক্স খোলা হয়। দানবাক্সগুলো খোলার পর টাকাগুলো প্রথমে ২০টি বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ।

সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। এবার তিন মাস ৬ দিন পর মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে। টাকা গণনা শেষে এবার রেকর্ড পরিমাণ ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা পাওয়া যায়। কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর নেতৃত্বে সহকারী কমিশনার অহনা জিন্নাত, শেখ জাবের আহমেদ, সুলতানা রাজিয়া, মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, মো. মাহামুদুল হাসান, রওশন কবীর, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভূঞা, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলামসহ রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তাকর্মচারী ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যসহ সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তাকর্মচারীরা টাকা গণনা কাজ তদারকি করেন।

এর আগে, সর্বশেষ গত বছরের (২০২২ সাল) ১ অক্টোবর মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে গণনা করে তিন কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা পাওয়া যায়। এছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া যায়। কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূরদূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমুখোশধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে ফের রোহিঙ্গা মাঝি খুন
পরবর্তী নিবন্ধবন কার্যালয়ের কাছেই কাটা পড়ল মাদার-ট্রি