বাঁধনের ‘গুটি’র মুক্তি আজ

চট্টগ্রামেও এর শুটিং হয়েছে

| বৃহস্পতিবার , ৫ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ

নতুন বছরের শুরুতেই আজমেরী হক বাঁধন আসছেন ওয়েব সিরিজ ‘গুটি’তে। এতে তাকে দেখা যাবে মাদক পাচারকারীর চরিত্রে। শঙ্খ দাশগুপ্ত পরিচালিত সাত পর্বের এই সিরিজটি আজ বৃহস্পতিবার চরকিতে মুক্তি পাবে। বাঁধন ছাড়াও এই সিরিজে অভিনয় করেছেন শাহরিয়ার নাজিম জয়, শরীফ সিরাজ, মৌসুমী হামিদ, নাসির উদ্দিন খান, আরিয়া আরিত্রা, টুনটুনি সোবহান, আরফান মৃধা শিবলু, মাহমুদুল আলম।

‘গুটি’ নিয়ে বাঁধন বলেন, গুটির গল্পটা পরিচালক শঙ্খ খুব দুর্দান্তভাবে সাজিয়েছেন। একদম ভিন্ন প্লট, ভিন্ন চরিত্র, ভিন্ন ধরনের একটা গল্প তিনি ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন। এখানে আমি সুলতানা নামে একজন ড্রাগ ডিলারের চরিত্রে কাজ করেছি। চরিত্রটা নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আলাপ করেছি। আমি এই চরিত্রটা অনেকদিন ধরে নিজের মধ্যে ধারণ করছি। সিরিজে কাস্টিংগুলো কিন্তু খুব ইন্টারেস্টিং। খবর বিডিনিউজের।

তিনি বলেন, গুটির গল্প আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। এটি নারী প্রধান গল্প। আমাদের এখানে এমন চরিত্রে কাজ খুবই কম হয়। এটা এমন একটা চরিত্র যে চরিত্রগুলো নিয়ে আলোচনা হয় না। সব সময় দেখা যায়, মার্ডারমিস্ট্রি জাতীয় চরিত্রগুলোকে ফোকাস করতে।

তিনি আরো বলেন, আমরা বড় বড় রাঘব বোয়ালদের গল্প বলি। কিন্তু যারা এখানে দাবার গুটির মতো ব্যবহৃত হয়, সেই সব মানুষদের ভেতরের গল্প বলা হয় না। স্পেশালি সে যদি নারী হয়, তার কথা তো বলাই হয় না। এই সিরিজে তেমন এক নারীর জীবন-যাপন ও সংগ্রামের গল্প বলা হয়েছে। চরিত্রটা আমার কাছে খুবই ইন্টারেস্টিং লেগেছে।

চরকির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাঁধন এখানে সুলতানা নামের একজন মাদক পাচারকারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সুলতানা কয়েক বছর ধরে স্থানীয় মাদক চোরাচালানকারী নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত। এই সময়ের মধ্যে সে প্রচুর অর্থ ও সম্পদ করেছে, কিন্তু বিনিময়ে হারাতে হয়েছে কাছের মানুষ, সম্পর্ক, বিশ্বাস ও আশা। এই কাজে পালানোর কোনো পথ নেই। তবে সুলতানা তার মেয়ের জন্য সুন্দর এক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখে। টান টান উত্তেজনা নিয়ে চলতে থাকে পুরোটা সিরিজ।

ওয়েব সিরিজ কারাগার, সিন্ডিকেট ও চলচ্চিত্র হাওয়া দিয়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান বলেন, গুটিতে আমি সিএনজি চালকের ভূমিকায় অভিনয় করেছি। এটা আমার জন্য নতুন ও চ্যালেঞ্জিং ছিল। একজন সিএনজি চালক আমাকে সিএনজি চালানো শিখিয়েছেন। পরিচালক শঙ্খ দাসগুপ্ত বলেন, চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে গুটির শুটিং হয়েছে। পুরো দলটা ছিল খুব দুর্দান্ত। এখন টেনশনে আছি এটা ভেবে যে দর্শকদের কেমন লাগবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘স্বর্ণবোয়াল’
পরবর্তী নিবন্ধতৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে মির্জাপুর খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির জয়