চট্টগ্রামে ১৪ লাখ ৮৩ হাজার শিক্ষার্থীকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অ্যাডভোকেসি সভা

| মঙ্গলবার , ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ at ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ (৭-১২ জানুয়ারি) উপলক্ষে গতকাল সোমবার নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অডিটরিয়ামে জেলা পর্যায়ের অ্যাডভোকেসী সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ফাইলেরিয়াস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রমের বাস্তবায়নে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এ সভার আয়োজন করে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফরিদুল আলম হোসাইনী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম, ডা. মোহাম্মদ হানিফ, ডা. মোহাম্মদ নূর উদ্দিন, বাবুল চন্দ্র নাথ, আবু আহমেদ প্রমুখ।

সভায় বিভিন্ন উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রতিনিধি, শিক্ষক, স্যানিটারী পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য কর্মী, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট, ইপিআই কর্মকর্তা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মী ও কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে নিয়োজিত কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এবার চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় ৫-১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ও অন্যান্য মিলে ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩১৩ জনকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, আগামী ৭-১২ জানুয়ারি পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে ২৭তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি। জেলার প্রত্যেক উপজেলার ৫-১৬ বছর বয়সী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী, বিদ্যালয় বহির্ভূত, ঝড়ে পড়া পথ শিশু, শ্রমজীবী শিশু ও বেদে পরিবারের শিশুসহ সকল শিশুকে এক ডোজ কৃমি নাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। এটি চুষে খাবার ট্যাবলেট নয়, ভরা পেটে পানি দিয়ে গিলে খাওয়াতে হবে। কোন শিশু পুরো ট্যাবলেট গিলে খেতে অসমর্থ হলে তাকে জোর না করে অন্য ট্যাবলেট ভেঙ্গে টুকরা টুকরা করে গিলে খাওয়ানো যেতে পারে।

তিনি বলেন,এ কর্মসূচি সফল করতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে সকল শিক্ষক, শিক্ষা কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদেরকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩য় থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষাথীদের মধ্যে থেকে বাছাই করে ক্ষুদে ডাক্তার টিম গঠন করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বা শ্রেণি শিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওজন মাপানো, উচ্চতা নিধারণ, দৃষ্টিশক্তি ও পুষ্টিহীনতা নির্ণয়সহ স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নিজেরা নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সজাগ থাকার পাশাপাশি পরিবার ও সমাজকে এ বিষয়ে সচেতন করবে। সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় তৃণমূল পর্যায় থেকে কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারলে স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রমে ঈর্ষণীয় সাফল্য আসবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় ইউপি সদস্যকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা
পরবর্তী নিবন্ধমা ও শিশু হাসপাতালকে সম্মাননা স্মারক প্রদান