‘প্রাচ্যের রানী চট্টগ্রামের রূপ লাবণ্য আমরাই ধ্বংস করছি’

নান্দনিক চট্টগ্রাম মেয়র অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১৯ নভেম্বর, ২০২২ at ৮:২০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, প্রত্যেক কিছুরই শুরু এই চট্টগ্রাম থেকে। চট্টগ্রাম যে উদ্যোগ নেয়, সারাদেশে তা ছড়িয়ে পড়ে। সবুজায়নের উদ্যোগও আমরা (চট্টগ্রাম) প্রথম নিয়েছি। তিলোত্তমা এতে সহযোগিতা করছে। তবে আমরা সবুজায়নের কথা বলি, অথচ সবুজ আমরাই ধ্বংস করছি। পাহাড়-প্রকৃতিকে ধ্বংস করছি। সুন্দর এই শহরটিকে ধ্বংস করছি। চট্টগ্রাম প্রাকৃতিকভাবে প্রাচ্যের রানী হিসেবে একসময় স্বীকৃত ছিলো। আমরাই সেই রানীর রূপ লাবণ্য ধ্বংস করেছি। এই দায় আমাদের নিতে হবে। এই শহরকে সবুজায়নের মাধ্যমে আমরা নান্দনিকভাবে গড়ে তুলতে চাই। নান্দনিক শহর গড়তে সকলের সহযোগিতা চাই। গতকাল শুক্রবার রাতে ‘নান্দনিক চট্টগ্রাম মেয়র অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও সামাজিক সংগঠন তিলোত্তমা, চট্টগ্রাম যৌথভাবে রেডিসন ব্লু হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত ছাদ বাগান ক্যাটাগরিতে তিনজনকে, সামাজিক সংগঠন ক্যাটাগরিতে ২টি ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে তিন প্রতিষ্ঠানকে নান্দনিক মেয়র অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন- নান্দনিক ছাদ বাগান ক্যাটাগরিতে মো. জুলফিকার আলী, নাছরীন ফাতেমা জুলি ও মনোয়ারা আখতার সিদ্দিকা। নান্দনিক সামাজিক সংগঠন ক্যাটাগরিতে বই বন্ধু ও তারুণ্যের প্রতীক। নান্দনিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে আবাসন প্রতিষ্ঠান সিপিডিএল, র‌্যাংকস এফসি প্রপার্টিজ ও বাটার ফ্লাই পার্ক। তিলোত্তমা চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা সাহেলা আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে একটি জার্নালে বের হয়েছে- বিশ্বে সবচেয়ে বাস অযোগ্য শহরের মধ্যে ঢাকা শহর অন্যতম। আমরা নিজেরাই নিজেদের হত্যা করছি। আমরাই নিজেদের আবাসকে ধ্বংস করছি। পরবর্তী প্রজন্মকে হেলদি ভাবে গড়ে ওঠার পথে বাধা সৃষ্টি করছি। এসবের মধ্যে নান্দনিক এমন আয়োজন ব্যতিক্রম বলতে হয়। মননে উন্নতি চাইলে সবুজায়নে আসতে হবে বলেও মন্তব্য করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নতুন দায়িত্ব নেয়া এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, প্যানেল মেয়র (দুই) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, সিডিএ’র সাবেক প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি শাহীনুল ইসলাম খান, তিলোত্তমার উপদেষ্টা স্থপতি আশিক ইমরান, এস এম আবু তৈয়ব, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র দত্ত, এয়ার বাংলার চেয়ারম্যান আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন, চসিক প্যানেল মেয়র ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর আফরোজা কালাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজি নুরুল হক, ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী, ড. নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, মোহাম্মদ জাবেদ, আবদুস সালাম মাসুম, নুরুল আমিন, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, সংরক্ষিত কাউন্সিলর লুৎফুননেচ্ছা বেবী দোভাষ, জেসমিন পারভিন জেসী, ফেরদৌসী আকবর, জাহেদা বেগম পপি, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কে ৪ সেতু উদ্বোধন
পরবর্তী নিবন্ধমানুষ দুঃসময়ে পাশে পায় গ্রাম্য চিকিৎসকদের