গাইবান্ধায় উপ-নির্বাচনে কোনো মারামারি-সংঘাত না হলেও ভোট স্থগিতের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, আজকের নির্বাচনের কোনো ভোট কেন্দ্রে গোলযোগ কিংবা বিশৃঙ্খলা হয়েছে, এমন কোনো খবর নেই। এমনকি কোনো ভোট কেন্দ্রে ন্যূনতম মারামারিও হয় নাই। তারপরে প্রথমে কিছু কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করে আবার সব কেন্দ্রে স্থগিত, এরপর নির্বাচন কেন স্থগিত করা হল, এটা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকায় বসে গাইবান্ধার ভোটকেন্দ্রে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে নানা অনিয়ম দেখে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল এই উপ-নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানান। তার এই সিদ্ধান্তের পর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানান হানিফ। এদিকে যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই নির্বাচন কমিশন গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোট স্থগিত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন। ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায়’ গতকাল বুধবার দুপুরে ভোট স্থগিত করার পর বিকালে সংবাদ সম্মেলনে নৌকার প্রার্থী এই অভিযোগ করেন। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে গতকাল উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে চারজন প্রার্থী। ভোটগ্রহণের মাঝপথে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন বাদে অন্যরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।











