অন্যায্য গৃহকর বাতিল করেই ঘরে ফিরব

করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সভায় নেতৃবৃন্দ

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৮ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মামলা-হামলার ভয়ে আমরা ভীত নই। অন্যায্য গৃহকর বাতিল করেই আমরা ঘরে ফিরব, তার আগে নয়।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে আয়োজিত দেওয়ানহাট মোড়ে অনুষ্ঠিত সভায় চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মুহম্মদ আমির উদ্দিন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, গৃহকর চট্টগ্রামবাসীর গলায় ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্পোরেশনের দুর্নীতির কথা বলার কারণে মেয়র সুরক্ষার সভাপতি নুরুল আফসারের উপর মামলা ও নেতা-কর্মীর উপর হামলা, দমন-পীড়ন চালিয়ে এক ভয়ংকর খেলায় মেতে উঠেছেন। নগরবাসী আশা করেছিল খাজা বাবার দরবার জেয়ারত করে এসে মেয়র মহোদয়ের বোধোদয় হবে কিন্তু তিনি আগের অবস্থানে অটল রয়েছেন। নানা রকম ধানায়-পানায় তিনি ভাড়ার অন্যায্য হোল্ডিং ট্যাঙ নগরবাসীর উপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছেন। সুরক্ষার ২১ অক্টোবরের গণশুনানি বানচাল করতে তিনি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গণশুনানি করার ঘোষণা দিয়েছেন যা সত্যিকার অর্থে গণতোষামোদিতায় পর্যবসিত হবে বলে চট্টগ্রামবাসী মনে করেন। এসব না করে পূর্বের নিয়মে গৃহকর নিয়ে নগরবাসিকে রেহাই দেয়ার দাবি জানান তিনি।
সভায় সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস পপি বলেন, আমাদের আন্দোলন গলাকাটা হোল্ডিং ট্যাঙ আইন বাতিলের মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসীর গলার ফাঁস ছুড়ে ফেলার আন্দোলন। ভাড়ার উপর কর নির্ধারণের এমন আজব নজীর পৃথিবীর কোথাও নেই। সৈয়দ ইরফান উদ্দিন খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সুরক্ষার নেতা হাসান মারুফ রুমি বলেন, গৃহকর আদায়ে সীমাহীন দুর্নীতি হচ্ছে এ ব্যাপারে মেয়র সাহেব নিশ্চুপ আর আমরা এ দুর্নীতির কথা বলতে গিয়ে চক্রান্তকারী হয়ে গেলাম! আমাদের সভাপতি মামলা খেল, সাধারণ সম্পাদকের ভাড়াঘরে হামলা চালানো হলো। তিনি চট্টগ্রাম নগরের সংসদ সদস্যদের এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য অনুরোধ জানান। তিনি আগামী ২১ অক্টোবর শুক্রবার বিকাল ৩টায় কদমতলীর গণশুনানিতে গৃহকরের অসঙ্গতি ও দুর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরার জন্য নগরবাসির প্রতি আহবান জানান।
হাসান মুরাদ ও সৈয়দ সালাউদ্দিন শিমুলের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতি নুরুল আবছারের পুত্র নুরুল হুদা তানভীর বলেন, ৭০ লক্ষ জনতার পক্ষে দাঁড়িয়ে আমার পিতা যে সত্য উচ্চারণ করেছেন তার জন্য আমরা গর্বিত। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুজিবুল হক, কাউন্সিলর আবদুল মালেক, সৈয়দ হোসেন, শ্রমিক নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম, হাজী হারুনুর রশীদ, হাজী মফিজুর রহমান, মীর মোহাম্মদ ইসলাম, হাজী নজরুল ইসলাম, মীর সৈয়দ ইমরান, এডভোকেট এ, আর, জাহাঙ্গীর, সোহেল আহমদ, সাজ্জাদ হোসেন জাফর, আহমদ জসীম, মোঃ আলমগীর প্রমুখ। সভাশেষে একটি মিছির শেখমুজিব রোড প্রদক্ষিণ করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধব্যাংকের মাধ্যমে ইউজার ফি
পরবর্তী নিবন্ধ১ অক্টোবর হলো না সম্মেলন