টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেদের প্রস্তুত করার শেষ সুযোগটা পাচ্ছে বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের মাধ্যমে। আর এই সিরিজটাকে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির আদর্শ মঞ্চ মনে করছেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স। কারণ এই সিরিজে খেলতে হবে দুই শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। যেখানে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রানার্স আপ নিউজিল্যান্ড। আর টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানও বিশ্বের সেরা দলগুলির একটি। র্যাঙ্কিংয়ে তারা আছে তিন নম্বরে। বিশ্বকাপের আগে এমন দুটি দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগটা কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের মতে, এই দুই দলের সঙ্গে লড়াই জমাতে পারলে বিশ্বকাপের জন্য দলের প্রস্তুতিটা বেশ ভাল হবে। আর সে ভালো প্রস্তুতির আশা নিয়েই বাংলাদেশ দল এখন নিউজিল্যান্ডে। এই ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের মূল লক্ষ্য বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। এই সংস্করণে ক্রমাগত ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের জন্য এই টুর্নামেন্ট থেকে পাওয়ার আছে অনেক কিছু। দলের ঘাটতি-দুর্বলতার বেশ কিছু জায়গা নিয়ে প্রশ্নের সমাধান খুঁজতে হবে এই টুর্নামেন্ট থেকে। পাশাপাশি দলগত প্রস্তুতির দিক থেকেও একটি লক্ষ্যের কথা সিডন্স তুলে ধরলেন । তিনি বলেণ এর চেয়ে ভালো কিছু আর চাইতে পারতাম না আমরা। গত বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট দল একটি। পাকিস্তানও ওপরের সারির দল। আমরা যদি ওদের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারি, তাহলে বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে থাকতে পারি। শুধু প্রতিপক্ষ নয়, উইকেট ও কন্ডিশনের দিক থেকেও এই টুর্নামেন্টকে প্রস্তুতির আদর্শ মঞ্চ মনে করছেন সিডন্স। নিউজিল্যান্ডে এখন অনেক শীত। অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপের সময় থাকার কথা বেশ গরম। নিউজিল্যান্ডের উইকেটগুলোতে অনেক সময় মুভমেন্টও মেলে। যা অস্ট্রেলিয়ায় দেখা যায় কম। এই টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে । যেখানকার উইকেটের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার মিল খুঁজে পান সিডন্স। কন্ডিশন অনেকটাই একরকম। এখানে ইনডোর ও সেন্টারে উইকেট বেশ ভালো। আমরা এখানে এজন্যই এসেছি। হ্যাগলির উইকেট অনেকটা অস্ট্রেলিয়ার মতোই হবে। অস্ট্রেলিয়ায় মৌসুমের শুরুতে উইকেট যেরকম থাকে, এখানেও প্রায় একইরকম। প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই এই ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে দুবাইয়ে সপ্তাহখানেকের সফর সেরে এসেছে বাংলাদেশ দল। প্রত্যাশিত দাপটে না হলেও সেখানে দুটি ম্যাচে জিতেছে টাইগাররা। সামনে তাকিয়ে সিডন্স এখন তরুণদের জ্বলে ওঠার অপেক্ষায়।
সিডন্স বলেন আমাদের দলটা বেশ তরুণ। তবে তরুণ দলটা নিয়ে আমরা রোমাঞ্চিত। তাদের শেখার অনেক কিছু আছে। খুব ভালো ও শক্তিশালি দুটি দলের বিপক্ষে ওরা কেমন করে তা দেখতে আমরা মুখিয়ে আছি। সাব্বির ও মিরাজের মতো ক্রিকেটার ব্যাটিং ওপেন করছে। তামিম-লিটনের ওপেন করার চেয়ে এটা পুরোই আলাদা। লিটন যদিও আছে তিন বা চার নম্বরে। সিনিয়র ক্রিকেটার এখনও আছে। তবে তরুণরা খুবই রোমাঞ্চকর এবং প্রাণবন্ত। আশা করছি তারা সেভাবেই নিজেদের মেলে ধরবে। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের লড়াই দিয়ে আগামী শুক্রবার শুরু হবে ত্রিদেশীয় সিরিজ।