যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দেশকে পাপমুক্ত করেছেন

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আলোচনা সভায় শাজাহান খান

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১১ আগস্ট, ২০২২ at ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান এমপি বলেছেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবনবাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন বলেই আমরা ‘স্বাধীন বাংলাদেশ’ নামক একটি রাষ্ট্র পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আজ আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারতাম না। খুনি জিয়া-মোস্তাকসহ ৭১’এ যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নেয়নি তারাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এ রকম নারকীয় হত্যাকাণ্ড আর ঘটেনি। জিয়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে ধরে হত্যা করেছে, অনেককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মেরেছে, কিন্তু ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। চট্টগ্রামেই তাকে জীবন দিতে হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থেকে নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের উপযুক্ত বিচারের মাধ্যমে দেশকে পাপমুক্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর খুনি যারা এখনো বিদেশে পলাতক রয়েছে তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকরে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন যে সকল রাজাকার, আল-বদর এদেশের মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করেছে সে সকল ধর্ষকদেরও বিচার সময়ের ব্যাপার। দেশের স্বাধীনতা বিরোধী ও বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যার মদদদাতাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকেল ৪টায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর ও জেলা ইউনিট কমান্ডের যৌথ উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আন্দরকিল্লাস্থ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন চত্বরে আয়োজিত সমাপনী দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সাহাবউদ্দিন মজুমদার রচিত ‘বাঙালা হতে বাংলাদেশ’ বিষয়ক মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন অতিথিবৃন্দ।
প্রধান বক্তা সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। শোককে শক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের মহাসড়কে সামিল হতে হবে।
বিশেষ অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু এ দেশের মাটি ও মানুষকে যেভাবে গভীর ভালোবাসার বন্ধনে উজ্জীবিত করেছিলেন তা বিশ্বের ইতিহাসে নজির। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে না হলে বাংলাদেশ কখনও স্বাধীন হতো না। জাতির পিতা হত্যাকারী, মদদদাতা ও ইতিহাস বিকৃতকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা জরুরি।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম সোলতান আহমদ, সামরিক বিশ্লেষক মেজর (অব.) মো. এমদাদুল ইসলাম ও সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। বক্তব্য দেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার একেএম সরোয়ার কামাল দুলু, মহানগরীর ডেপুটি কমান্ডার শহিদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, সহকারী কমান্ডার খোরশেদ আলম (যুদ্ধাহত), আবু তাহের এলএমজি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের মো. সরোয়ার আলম চৌধুরী মনি ও মহানগর কমিটির আহ্বায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদক্ষিণ রাউজান উদয়ন সংঘের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
পরবর্তী নিবন্ধহওয়ার আগেই জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ