সাফ অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবলের ফাইনালে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ৩ আগস্ট, ২০২২ at ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ

টানা তিন ম্যাচে জিতে ফাইনালের পথে এক পা দিয়েই রেখেছিল বাংলাদেশ। তারপরও নেপালের বিপক্ষে জিতে শতভাগ জয় নিয়ে ফাইনালে পা রাখতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। যদিও এই ম্যাচে ড্র করলেই ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যেতো লাল সবুজ জার্সিধারীদের। শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো। অবশ্য বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল জয়রথে থাকার। কিন্তু নেপালের সাথে ১-১ গোলে ড্র করে ফাইনালে পা রাখে বাংলাদেশ। যদিও পিয়াস আহমেদের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর শতভাগ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ড্র করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে।

ফাইনালে যেতে হলে নেপালকে এই ম্যাচে অসাধ্য সাধন করতে হতো। আর তা হচ্ছে বাংলাদেশকে ৫-০ গোলে হারাতে হতো। শেষ পর্যন্ত নেপালের ঘুরে দাঁড়ানো জয়ের চাওয়া পূরণ হয়নি। ফাইনালে উঠে গেছে বাংলাদেশ। ভুবনেশ্বরের কালিংগা স্টেডিয়ামে গতকাল অনুষ্ঠিত রাউন্ড রবিন লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের সঙ্গে ১-১ ড্র করেছে বাংলাদেশ। তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রাউন্ড রবিন লিগের সেরা দল হিসেবে ফাইনালে জায়গা করে নিল বাংলাদেশ। আগের তিন ম্যাচে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কাকে ১-০, ভারতকে ২-১ ও মালদ্বীপকে ৪-১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।

আগের ম্যাচে ভারতের কাছে আট গোল হজম করা নেপাল শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলে। অপরদিকে রক্ষণ অটুট রেখে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করে বাংলাদেশ। খেলার নবম মিনিটে ১৩ মিনিটে দুটি সুযোগ পেলেও সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অর্ধে সিংহভাগ সময় খেলা হলেও পোস্টের নিচে বিশ্বস্ত দেয়াল হয়ে ছিলেন মোহাম্মদ আসিফ। ৩৩ মিনিটে বঙের একটু উপর থেকে দিপেশ গুরংয়ের বাঁকানো ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন আসিফ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দশ জনের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। তানভীর আহমেদের ট্যাকলে পড়ে যান কৃতিশ রেইনা।

এ নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি শুরু হয়। দুই পক্ষের মধ্যে বেঁধে যায় ধাক্কাধাক্কি। রেফারি শাহিদুল ইসলামকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখালে সেটা লালকার্ডে পরিনত হয়। এরপর খেলার ৬৩ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। সতীর্থের কাট ব্যাকে নিখুঁত প্লেসিং শটে পিয়াস আহমেদ নোভা লক্ষ্যভেদ করেন। এগিয়ে যাওয়ার উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের সে উচ্ছাস থাকেনি বেশিক্ষন। চার মিনিট পর সমতা ফেরায় নেপাল। ৬৭ মিনিটে বদলি নিরঞ্জন মাল্লা বঙের বাইরে থেকে জোরালো শটে সমতা গোল করলে সমতা ফিরে ম্যাচে। তিন ডিফেন্ডার তার সামনে থাকলেও কেউই প্রতিরোধের চেষ্টা করেননি। শেষ দিকে পিয়াসের শট ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে গেলে আরো একটি সুযোগ হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের । ৮৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণের সুবর্ণ সুযোগও নষ্ট করেন এই পিয়াস। একক প্রচেষ্টায় আক্রমণে ওঠা পিয়াস গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল তার গায়ে মেরে দেন। তারপরও লক্ষ্য পূরণের উচ্ছ্বাস নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগ্রুপ চ্যাম্পিয়ন শোভনীয়া, লাকী স্টারের জয়
পরবর্তী নিবন্ধ১৭ বছর পর পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে ইংল্যান্ড