সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক কলেজ পড়ুয়া তরুণীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করায় প্রধান আসামি মো. আলী ফয়সালসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সূত্র জানায়, ফেসবুকের মাধ্যমে প্রায় দেড় বছর আগে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা এলাকার ভুক্তভোগী ওই তরুণীর সাথে মো. আলী ফয়সালের (৩৭) পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে ফয়সাল বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক জানতে পেরে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় তরুণী। এতে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে ফয়সাল তার মোবাইলে কৌশলে ধারণকৃত ওই তরুণীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এভাবে ভিকটিমকে ব্লাকমেইল করে ফয়সাল তার কাছ থেকে কয়েক দফা টাকাও আদায় করে। গত ৫ জুলাই মো. হোসাইনের মাধ্যমে ফয়সাল ওই তরুণীর নাম ও ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন ফেসবুক আইডি খুলে ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে। এ ঘটনায় গত ২২ জুলাই মো. আলী ফয়সাল ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে ওই শিক্ষার্থী। মামলা রুজুর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কর্ণফুলী থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হবিগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানাধীন চৌধুরী বাজার এলাকা থেকে ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ জানান, গ্রেপ্তার যুবকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার রাতে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তারের পর তাকে গতকাল আদালতে প্রেরণ করা করা। তার রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
এদিকে র্যাব অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতে ফয়সালের সহযোগী মো. হোসাইনকে (৩৪) কর্ণফুলী থানাধীন চরলক্ষ্যা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে র্যাব। র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নূরুল আবছার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন হোসাইন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে কর্ণফুলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।