আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “খেলা হবে-খেলা হবে, রাজনীতির মাঠে খেলা হবে। নির্বাচনের মাঠে খেলা হবে। আসুন, খেলায় আসুন, নির্বাচন আর রাজনীতির মাঠে খেলায় আসুন।”
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবেলায় নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান প্রথম ‘খেলা হবে’ স্লোগানটি তুলেছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে তা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও জনপ্রিয় হয়েছিল।
২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ‘খেলা হবে’ স্লোগানটি অনানুষ্ঠানিক নির্বাচনী স্লোগান হিসেবে ব্যবহার করে। এনিয়ে গানও হয় সেখানে।
আজ শনিবার(১৬ জুলাই) আওয়ামী লীগের এক সভায় সেই স্লোগানটি ফিরিয়ে আনলেন ওবায়দুল কাদের। শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ এই সভা আয়োজন করে।
বিএনপির আন্দোলনের হুমকির জবাবে বিএনপিকে রাজনীতির মাঠেই মোকাবেলার ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আগুন নিয়ে খেলবেন না, আমরা প্রতিহত করব। আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ে সেই আগুনের খেলা প্রতিরোধ করবে।”
আওয়ামী লীগ সরকারে ‘বিদায় ঘণ্টা’ বেজে গেছে বলে বিএনপি নেতারা যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তার পাল্টা জবাবে তিনি বলেন, “বিএনপি বলে- আমাদের পতনের নাকি সাইরেন বাজে। কোথা থেকে শুনলেন সাইরেনটা? রাস্তায় যখন গাড়ি চলে ওই সাইরেন শুনেছেন? শুনবেন, শুনতে পাবেন আপনাদের বিদায়ের ঘণ্টার সাইরেন। নেতিবাচক রাজনীতি আপনাদেরকে অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়েছে, আপনাদেরই বিদায়ের ঘণ্টা বাজছে।”
মহামারীর মধ্যে যুদ্ধ যে সঙ্কট নিয়ে এসেছে, এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান কাদের।
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুকন্যা আজকে কত বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে কঠিন সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছে। বন্যা করোনাভাইরাস, যুদ্ধের প্রভাব তিনি মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। তাকে শক্তি দিতে হবে, শক্তি দিতে হবে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ থেকে। কথায় কথায় নিজেরা অন্তঃকলহে জড়াবেন না। খুব খারাপ সময়, খুব ঝুঁকিপূর্ণ সময়, এই সময়ে ঐক্যের বিকল্প নেই। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ কিছু করতে পারবে না।”
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, “ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। ১/১১ এর ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও সক্রিয়। বিদেশিদের সঙ্গে আঁতাত করছে। বিএনপি জানে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে পারবে না। তাই তারা সেই ষড়যন্ত্রের খেলায় মেতে উঠেছে। কোনো অবস্থাতেই এটা হতে দেওয়া হবে না। কোনো অনির্বাচিত সরকারকে আর আসতে দেওয়া হবে না।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ বলেন, “তাদের ষড়যন্ত্র কিন্তু এখন আছে। তারা আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা মানতে চায় না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকল উন্নয়ন হবে, এদেশ এগিয়ে যাবে। এই জন্য তাদের আওয়ামী লীগের প্রতি ভীতি আছে। আজ আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের রাজপথে প্রতিহত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।”
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।