বাঁশখালী, পেকুয়া ও কুতুবদিয়ায় ৪৮ ঘণ্টার টানা অভিযানে তিন জলদস্যু বাহিনীর তিন প্রধান আজিজুল হক প্রকাশ আজিজ (৪৬), কালু প্রকাশ গুরা কালু (৪০) এবং সাহাব উদ্দিন প্রকাশ সাহাবসহ (৪৭) আট জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গত শুক্রবার থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত এ অভিযান চলে। গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হল নুরুল বশর (৩২), শহিদুল ইসলাম (২৮), নেজাম উদ্দিন (২৯), ছলিম উল্লাহ বাবুল (৫৫) ও জিয়াবুল হক জিকু (৫০)। এদের মধ্যে আজিজ বাহিনীই সবচেয়ে দুর্ধর্ষ বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব জানায়, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলে আজিজ বাহিনীর সদস্যরা কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে। বিভিন্ন সময় উপকূলে বসবাসকারী সাধারণ লবণ চাষি ও সাগরে জেলেদের উপর অত্যাচার, চাঁদাবাজি এবং অপহরণের কাজ পরিচালনা করে আজিজ বাহিনীর সদস্যরা। পরবর্তীতে উপকূলীয় সাধারণ মানুষের নানান অভিযোগের ভিত্তিতে টানা ৪৮ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে আজিজ বাহিনীর প্রধান আজিজসহ আটজনকে আটক করে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩টি ওয়ান শুটার গান, ১টি দুইনলা বন্দুক, ৩টি একনলা বন্দুক, ১১ রাউন্ড গুলি এবং ৫টি ধারালো ছোরা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ১টি ট্রলারসহ জেলেদের ২টা জাল জব্দ করা হয়। র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমএ ইউসুফ বলেন, জলদস্যু দলের নেতাদের মধ্যে গুরা কালুর বিরুদ্ধে ১০টি, আজিজের বিরুদ্ধে ৩টি এবং সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা রয়েছে। আজিজ ডাকাত, গুরা কালু এবং সাহাব তিনজন মিলে তিনটি দল পরিচালনা করত। এছাড়াও আটককৃত নুরুল বশরের বিরুদ্ধে একটি, শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২টি, নেজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে তিনটি এবং ছলিম উল্লাহ প্রকাশ বাবুলের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ বাঁশখালী, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী থানা এলাকাসহ সাগর পথে বিভিন্ন চ্যানেলে ডাকাতি করে আসছে। আটকের পর ডাকাত দলের সদস্যদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।