সম্প্রতি আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনা একটি নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন অকালেই ঝড়ে যাচ্ছে সড়কে কত তাজা প্রাণ। সারাজীবনের কান্না হয়ে পরিবার পরিজন থেকে বিদায় নিচ্ছে আমাদের প্রিয় মানুষটি। প্রতি বছরই হাজার হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে। আত্মসচেতনতাই পারে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস করতে। যাত্রী হিসেবে যানবাহনে চড়ার আগে আমাদেরকে অবশ্যই গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বের হওয়া উচিত।
নতুবা সময় স্বল্পতার জন্য দেখা যায় ফুট ওভার ব্রিজ দিয়ে রাস্তা পার না হয়ে ব্যস্ত সড়ক দিয়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হয়। মনে রাখা উচিত, গন্তব্যস্থলে কখনোই না ফেরার চেয়ে দেরিতে ফেরা উত্তম। বাংলাদেশের বেশিরভাগ যানবাহনের চালকদের লাইসেন্স নেই। এমনকি চালকেরা ট্রাফিক নিয়ম-কারণ সম্পর্কেও পরিপূর্ণ জ্ঞান রাখে না। দেখা যায়, চালকের পাশে বসে বাসের হেল্পাররা ড্রাইভিং শিখে গিয়ে বাস চালানো শুরু করে দেয়।
তাছাড়া সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ: আঁকাবাকা রাস্তা, ঘন ঘন লেন পরিবর্তন, উল্টোদিকে গাড়ি চালানো, অসতর্ক ও বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী বহন ইত্যাদি। তাই আমাদের সকলের উচিত, ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে মেনে চলা। লাইসেন্সবিহীন কেউ যেন গাড়ি চালাতে না পারে এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সর্বোপরি, আমাদের সকলের সতর্কতার মাধ্যমেই সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস করা সম্ভব।
সাদিয়া ফাতেমা মীম
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।