ইসলামের মৌলিকত্বকে ধারণ ও চর্চা করতে হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

পিএইচপি কুরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানের গ্র্যান্ড ফিনালে

| শনিবার , ৩০ এপ্রিল, ২০২২ at ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ

ইসলামের মৌলিকত্বকে ধারণ এবং নৈতিকতা ও মূল্যবোধের চর্চার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে পিএইচপি কুরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে২০২২ এর গ্র্যান্ড ফিনালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবলো, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রুনাইয়ের রাষ্ট্রদূত হাজী হারিস ওসমান, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক কামরুল আহসান, পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান, কুরআনের আলো ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ও এনটিভির পরিচালক নূরউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসসের।

মন্ত্রী বলেন, শুধু দৃশ্যমান ধারণ নয়, ইসলামকে মনেপ্রাণে অনুসরণ ও চর্চা করতে হবে। অনৈতিক ও মূল্যবোধহীন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়া, অপরকে ঠকানোর জন্য নিজেকে ব্যস্ত রাখা, অপ্রয়োজনে অপরের সমালোচনা করা, অকল্যাণকর কাজে নিজেকে নিয়োজিত করা ইসলামের বার্তা নয়। সম্মিলিতভাবে ইসলামের মৌলিক জায়গা ধারণ করতে হবে। ধ্যানে, মনে, চিন্তাচেতনায় সততা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের বিনিয়োগ করতে হবে। ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনবিধান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ইসলামের মৌলিক ভিত্তি পবিত্র কুরআন। সে কুরআন যারা বুকে ধারণ করে, বিশ্বাস করে, লালন করে এবং চর্চা করে তারা পরিপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারে। এ জন্য ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে হবে। তিনি বলেন, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব সমপ্রদায়ের প্রতি রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব রয়েছে। তবে শেখ হাসিনা যতদিন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, ততদিন কুরআনসুন্নাহ পরিপন্থী কোনো আইন বাংলাদেশে পাশ হবে না।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন মাদ্রাসা থেকে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত এক পঞ্চমাংশ মানুষকে পেছনে ফেলে দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। সে জন্য তিনি মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তরকে এম এ পাসের মর্যাদা দিয়েছেন। বর্তমানে বিপুল পরিমাণ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষায় মেধা ও যোগ্যতায় ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। সরকারের উদ্যোগে জেলাউপজেলায় ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। আলেম ও ইসলামিক বিদ্বানদের জন্য সরকার নানা দিগন্ত উন্মোচন করছে। যেন তারা মূলস্রোতে এসে নিজ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে মানুষকে আদর্শ ও নৈতিক মানুষে পরিণত করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমসজিদে নববীতে শাহবাজকে দেখেই ‘চোর’ বলে স্লোগান
পরবর্তী নিবন্ধবাজারে দেশি-বিদেশি টুপি আতর, চাহিদাও বেশ