আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে চট্টগ্রামের জেলা ও উপজেলায় পাঠানো হচ্ছে টিসিবির ভোগ্যপণ্যের চালান। ট্রাকযোগে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে পণ্যের চালান পৌঁছে দেয়ার প্রথম ধাপের এ কার্যক্রম। আগামী ২০ মার্চ থেকে রমজানের আগ পর্যন্ত চলবে রেশন কার্ডধারীদের মাঝে বিক্রয়। এরপর রমজানের মাঝামাঝি সময়ে পণ্য পৌঁছে দেয়া ও বিক্রয়ের দ্বিতীয় ধাপের কার্যক্রম শুরু হবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) তৌহিদুল ইসলাম আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজকে (গতকাল) দুপুরে ভোগ্যপণ্য নিয়ে মোট ১৮টি ট্রাক উপজেলাগুলোর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন পণ্য পৌঁছে দেয়ার এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। পরে পণ্যগুলো উপজেলা প্রশাসন-ই প্যাকেজিং করবে। এরপর ২০ মার্চ থেকে রেশন কার্ডধারীদের মাঝে বিক্রয় করা হবে। প্রতি রেশন কার্ডধারী স্বল্প মূল্যে ক্রয় করতে পারবেন দুই কেজি সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল ও দুই কেজি চিনি।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামের জেলা, উপজেলার মোট ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮২ জন মানুষ এ সুবিধা ভোগ করবেন। এর মধ্যে নগরীর ৩ লাখ ৯৬৩ জন এবং বাকী ২ লাখ ৩৪ হাজার ১১৯ জন উপজেলার বাসিন্দা। এসব মানুষ দুই ধাপে টিসিবির পণ্য পাবেন। সরকারের ১২৩ ধরণের ভাতা সুবিধাভোগী কোনো মানুষকে এ সুবিধা দেওয়া হবে না। প্রথম ধাপের জন্য জেলা ও উপজেলায় ১ হাজার ৭০ টন মসুর ডাল, ১ হাজার ৭০ টন চিনি এবং ১০ লাখ ৭০ হাজার ১৭০ লিটার সয়াবিন তেল উপজেলায় পৌঁছে দেয়া হবে। এর মধ্যে নগরীর জন্য বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ৬০১ টন চিনি, ৬০২ টন মসুর ডাল এবং ৬ লাখ ১ হাজার ২৬ লিটার সয়াবিন তেল। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ ইতিমধ্যে সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা প্যাকেজিংও শুরু করে দিয়েছে। বিক্রয় কার্যক্রমে জেলা প্রশাসনের একজন প্রতিনিধিও থাকবেন। বাদ বাকী খাদ্যপণ্য উপজেলার রেশন কার্ডধারীদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান জানিয়েছিলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে চট্টগ্রামের জেলা, উপজেলার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮২ জন মানুষকে রেশন কার্ড দেবে সরকার। এই কার্ড দেখিয়ে সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য কেনার সুযোগ পাবেন সাধারণ জনগণ।