সামাজিক ও সাংগঠনিক নানা বিষয়ে মনোমালিন্য, মান-অভিমান প্রভৃতি ছিল এবং থাকবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অনেক সময় তুচ্ছ সমস্যা গুরুতর হয়ে সংঘর্ষের পর্যায়ে চলে যায়। এমনকি কোনো কোনো সময় তা প্রকট আকার ধারণ করে রক্তপাত থেকে শুরু করে প্রাণহানিও ঘটায়। এটা সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলার পরিপন্থী। আর এ ধরনের সমস্যার থাকে নির্দিষ্ট কিছু কারণ। সমস্যাগুলোর সাথে জড়িত থাকে নির্দিষ্ট কোনো পক্ষ বা উভয়পক্ষ কিংবা তৃতীয়পক্ষ। আর এই ‘তৃতীয়’ পক্ষই সবচেয়ে মারাত্মক। আবার অনেক ক্ষেত্রে দায়ী হলো নিছক ভুল বোঝাবুঝি বা অভিমানে দূরে থাকা। তাই আমাদের সামাজিক জীবন ও সংগঠনগুলোকে প্রায়ই এ ধরনের সমস্যা-সঙ্কটের সম্মুখীন হতে হয়। সমস্যাকে লালন না করে তার কারণ উদঘাটনপূর্বক শান্তিপূর্ণ সমাধান করাই হলো জরুরি। একটি সমস্যা লালনের ফলে সেখান থেকে জন্ম হয় আরো হাজারো সমস্যার। তা কারো জন্য মঙ্গলজনক নয়। এর ক্ষতিকর প্রভাব বিরাজ করে বছরের পর বছর, ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম। সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে হুমকি-ধমকি, নিষেধাজ্ঞা, দূরে ঠেলে দেয়া, চাপ প্রয়োগ, মারামারি, রক্তপাত ঘটলে তার সমাধান হয় না। আবার অনেকে এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যাবলিকে ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে চাপ ও ভীতিতে রাখে। এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনো একদিন সুযোগ পেলে একপক্ষ আরেক পক্ষের ওপর পাল্টা চড়াও হয়। চলতে থাকে পাল্টাপাল্টি প্রতিশোধ নেয়ার কর্মসূচি। এটা সৃষ্টি করে দীর্ঘস্থায়ী অশান্তি ও বিশৃঙ্খলার।
এ ধরনের সমস্যার সমাধান হোক মুখোমুখি আলোচনার মাধ্যমে, ধৈর্যের মাধ্যমে একে অন্যের প্রতি সহিষ্ণু মনোভাবে। এটা সমাজে শান্তি বিস্তার করবে, তেমনি উন্নত সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে।