মেয়েরা সাথে সাথে দেশও এগিয়ে নিয়ে যাবে

টুম্পা ভট্টাচার্য | মঙ্গলবার , ১৫ মার্চ, ২০২২ at ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ

কর্মক্ষেত্রে নারীর অবস্থান দক্ষতার উপর নির্ভর করে। নারীরা যেখানে ড্রাইভিং থেকে শুরু করে সব পেশায় নিজেদের প্রমাণ করছে সেখানে নারীদের ভূমিকা নারীরাই তৈরি করছে। তবে কর্মস্থলে সংখ্যায় লঘু নারীরা যারা জন্য অবস্থানে টিকে থাকাটা চ্যালেঞ্জের। তার উপর নারীরাই স্বগোত্রীয়ের সাথে থাকে মানসিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। আত্মবিশ্বাসের ঘাটতির কারণে পরোনির্ভরশীলতাকে সিকিউর ভেবে সংখ্যালঘু থেকে আরও লঘুতে যে পরিণত করছে সেটা অধিকাংশ নারীদের বোধগম্যতার বাইরে। আবার পুরুষ সহকর্মীরাও দশের মাঝে চারজন নারীকর্মীদের সহোযোগিতার মানসিকতা প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক। স্বাভাবিকভাবেই মেয়েরা শক্তি প্রয়োগ করতে তুলনামূলক ছেলেদের থেকে কম পারে কিন্তু ধৈর্য ও সহনশীলতা মেয়েদেরই বেশি এটা স্বীকার করতেই হয়। তাই যেকোনো সহকর্মীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিংবা মেয়েদের কাজ করার ইচ্ছেকে হেয় প্রতিপন্ন করার মানসিকতাকে দূরে রাখার প্রয়োজন বেশি। একবার ভেবে দেখুন আপনি যদি আপনার পরিবার নিয়ে প্রবাসে থাকেন তখন সেখানেই আপনার পরিবারের আর্থিক দায়িত্ব একা আপনার নেয়া অনেক কষ্টের হয়। আর ওই জন্য হাসবেন্ড ওয়াইফ দুজনকেই পাশাপাশি আর্থিক ও ঘরের কাজে সাপোর্ট করতে হয়। এই মানসিকতা আমরা যদি দেশের বাইরে গিয়ে মানিয়ে নিতে পারি তবে দেশে কেন পারছি না? যেখানে খেলাধুলা থেকে রেল চালানো আর রাজনীতি ও এভারেস্ট জয় করছে সেখানে আমরাই আমাদের পরশ্রীকাতরতাই নিজেদের অনবদমিত করছি বার বার শুধু মাত্র ক্ষুদ্র কিছু পাওয়ার আশায়।যে আত্মনির্ভরশীলতা নিজেদের বৃহৎ স্বার্থ সেখানে কর্ম দক্ষতায় পারদর্শী হওয়ার বিকল্প কিছুই নেই। চাটুকারিতার মাধ্যমে কমফোর্ট জোন শুধুই সমসাময়িক জায়গা তৈরি করতে পারে সেটার স্থায়িত্ব যে বহুদূর ও মজবুতহীন তা নিজেকেই বুঝে নিজেকে তৈরি করতে হয়। যে সব মেয়েরা কিছু করতে হাজার কষ্টকে সহ্য করে সংগ্রাম করে তাদের জন্য সমস্ত কর্মক্ষেত্রের মানুষের প্রয়োজনে সাপোর্ট করার মানসিকতা থাকা দরকার। বিশ্বের সমস্ত দেশে যখন মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে আমাদের দেশও একই ভাবে এগিয়ে যাবে। আর ওই জন্যই কর্ম পরিবেশে সুশৃঙ্খলতা বজায় রাখতে নারীদের আরও মানসিক ভাবে দৃঢ় ও মনোযোগী হতে হবে এবং সেই সাথে সমস্ত নারী পুরুষ সহকর্মীদের বন্ধু সুলভ আচরণের মাধ্যমে সাপোর্টিং মানসিকতারও দরকার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধথাকতে হবে সহিষ্ণু মনোভাবে
পরবর্তী নিবন্ধ‘অজস্র সাহসের সাহসী উচ্চারণ’