আজকাল শিক্ষার্থীরা যতটুকু সময় মোবাইল তথা ইন্টারনেটে ব্যয় করে, তার তিনভাগের একভাগও বই পড়ার পেছনে ব্যয় করে না। কোথায় যেন হারিয়ে গেছে বই পড়ার অভ্যাস। বইয়ের রূপ, রঙ ও ঘ্রাণও যেন আগের মতো নেই। প্রযুক্তিগত দিক থেকে বিবেচনা করলে বাংলাদেশ উন্নত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এ যুগের কিশোরদের মানবিক মূল্যবোধ বিকশিত হচ্ছে না। আগেকার যুগে স্কুলপড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থীদের মনুষ্যত্ববোধ শেখানোর জন্য আদর্শলিপিসহ নানা বাল্যশিক্ষার বই পড়ানো হতো। এখন সেগুলো স্মৃতি। ইন্টারনেটভিত্তিক শিক্ষা যতই সহজই হোক না কেন, বইয়ের মতো তা মনকে প্রশান্তি দিতে পারে না। আজকাল স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে গিয়ে বইয়ের নামও সঠিকভাবে লিখতে পারে না।
বই এর পরিপূরক কখনোই ইন্টারনেট হতে পারে না। এরা যে যার জায়াগায় মানানসই। বই কে দূরে ঠেলে কখনোই কিশোরদের থেকে মূল্যবোধ আশা করা ঠিক হবে না। তাই প্রতিটি পিতা-মাতা এবং শিক্ষক দের এই ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে, যাতে আমাদের সন্তানরা বই পড়ার সেই সোনালী দিন গুলোর আনন্দ উপলব্ধি করতে পারে। শুভকামনা থাকলো ইন্টারনেট পাগল শিক্ষার্থীদের জন্য। লেখক: শিক্ষার্থী।