সাতকানিয়া উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সকল ধরনের প্রচার-প্রচারণা আজ শনিবার মধ্যরাত থেকে শেষ হচ্ছে। উপজেলা ব্যাপী প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের (আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী) সংঘাত-সংঘর্ষের উত্তপ্ত পরিবেশের মধ্যেই আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে নির্বাচন। এর মধ্যে ৪ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে এই ৪ ইউনিয়নে মেম্বার পদে নির্বাচন হবে। আজ প্রার্থীদের শেষ প্রচার-প্রচারণায় আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহীরা প্রত্যেকেই শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। এই শোডাউনেও বড় ধরনের সংঘাত-সংঘর্ষের আশংকা
রয়েছে। এতে করে ভোটের দিনের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন ভোটাররা। নির্বাচনী এলাকায় সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় আজ শনিবার থেকে বিজিবির টহল শুরু হচ্ছে। একই সাথে মাঠে নামবে পুলিশ ফোর্সও। এই ব্যাপারে সাতকানিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা আজাদীকে জানান, সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহণের ব্যাপারে আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শনিবার থেকে নির্বাচনী এলাকায় বিজিবির টহল শুরু হবে। পুলিশ ফোর্সও নামবে।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ১৪৫ কেন্দ্রের ৬৭১টি বুথে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহণের জন্য জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পক্ষ থেকে ২ হাজার ১৫৮জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা) প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সপ্তম ধাপে সাতকানিয়া ইউনিয়ন, ছদাহা ইউনিয়ন, পুরানগড়, বাজালিয়া, ধর্মপুর, কালিয়াইশ, কেঁওচিয়া, ঢেমশা, মাদার্শা, আমিলাইশ, কাঞ্চনা, নলুয়া, খাগরিয়া, চরতি, পশ্চিম ঢেমশা ও সোনাকানিয়া ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ পূর্ণ না হওয়ায় এ ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না।
সাতকানিয়ায় নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরুর পর থেকে প্রতিদিন সংঘাত-সংঘর্ষ লেগে থাকলেও ভোটের আগ মুহূর্তে এসে ঘটছে খুনের মতো সহিংস ঘটনাও। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে সংঘাত-সংঘর্ষ ততই বাড়ছে। এতে ভোটের দিনের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কায় আছেন ভোটাররা।












