তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রায় ৫’শ শীতার্তের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে রাঙ্গুনিয়ার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়।
এ সময় দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের সোনারগাঁও গ্রাম থেকে কম্বল নিতে আসা মহরম আলী (৭০) উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীত পড়ছে। এতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো। আমাদের ছেলে তথ্যমন্ত্রীর উপহারের কম্বল পেয়ে খুব ভালো লাগছে। খন্ডলিয়াপাড়া গ্রামের জয়নব বেগম (৫৫) বলেন, গ্রামের গরিবদের শীতের কষ্ট দেখার লোক নেই। যিনি আমাদের মতো গরিব মানুষের খোঁজ নিয়ে শীতের কাপড় দিচ্ছে তাঁকে আল্লাহ বাঁচায় রাখুক। ধামাইরহাট কাজীপাড়া গ্রাম থেকে আসা জাহানারা বেগম (৬০) কম্বল পেয়ে বলেন, ডেকে ডেকে কম্বল কয়জনে দেয়? যেটা পেয়েছি তাতেই খুব খুশি হলাম। শীত নিবারণে কিছুটা হলেও উপকার হবে।
এ মাসের শুরু থেকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভা এবং পাশের বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণের উদ্যোগ নেন তথ্যমন্ত্রী। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার শীতার্তের কাছে পৌঁছানো হয়েছে কম্বল। রাঙ্গুনিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামে, পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে বসবাসকারী শীতার্ত দরিদ্র পরিবারগুলোর দরজায় কম্বল পৌঁছানো অব্যাহত থাকবে বলে জানান এনএনকে ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা মাস্টার আবদুর রউফ।
তথ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এমরুল করিম রাশেদ বলেন, গত কয়েকদিনের শীতের তীব্রতা টের পাচ্ছে রাঙ্গুনিয়ার মানুষ। সবচেয়ে কষ্টে আছে ছিন্নমূল ও দরিদ্র শ্রেণির জনগোষ্ঠী। শীতার্ত এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। কম্বল পেয়ে খুশি দরিদ্র জনগোষ্ঠী। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের পূর্ব রাজানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কম্বল বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ ছৈয়দ তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদার, এনএনকে ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা এনামুল হক, শৈবাল চক্রবর্তী প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
