বারবার টেস্ট ক্রিকেট থেকে ছুটি নেওয়ায় সাকিবের বিরুদ্ধে সমালোচনা কম হয় না। সমালোচকরা বারবার প্রশ্ন তুলেছেন কেন সাকিব এমনটি করেন। সে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সাকিব। গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন সাকিব। যাবার প্রাক্কেলে এক সাক্ষাতকারে সাকিব জানিয়েছেন, একসাথে তিন ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব। গত  চার বছর ধরে নানান জটিলতার কারণে দেশের হয়ে ১৬টির মতো টেস্ট খেলেননি সাকিব। এবারের নিউজিল্যান্ড সিরিজ যোগ করলে এই সংখ্যা গিয়ে দাড়াবে ১৮ তে। এর আগে ইনজুরি, নিষেধাজ্ঞা আর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ওই সিরিজগুলো থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন সাকিব। এবারও সেই পারিবারিক কারণ দেখিয়েই নিউজিল্যান্ড সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন সাকিব।
টেস্ট থেকে বিভিন্ন সময়ে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কারণে সাকিবকে ঘিরে প্রশ্ন ওঠে।  আদৌ কি টেস্ট খেলতে আগ্রহী সাকিব? এবার সে সব নিয়ে বেশ খোলামেলা কথা বলেছেন সাকিব। নিজের টেস্ট ক্যারিয়ার নিয়ে জানালেন পরিকল্পনার কথাও। টেস্ট খেলবেন কিনা সে সব নিয়ে ভাবা শুরু করেছেন সাকিব। সাকিব বলেন, আমার কাছে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ আমি জানি। কোনটার অগ্রাধিকার দিতে হবে সেটাও জানি। এখন আসলেই এমন সময় এসেছে যে আমি টেস্ট নিয়ে চিন্তা করছি। এটাই হচ্ছে বিষয়। আমি আদৌ আর টেস্ট খেলবো কি না, খেললেও কীভাবে খেলবো সে সব নিয়েও ভাবছি।’ কেবল সাদা পোশাক নিয়েই নয়, সাকিব ভাবছেন রঙিন পোশাকের ফরম্যাট দুটি নিয়েও। জানিয়ে দিয়েছেন ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর অবসর নিতে পারেন টি-টোয়েন্টি থেকেও। আর ওয়ানডে ফরম্যাটের সব ম্যাচেও খেলবেন কিনা তা নিয়েও করছেন পৃথক পরিকল্পনা।
সাকিব বলেন, এমনকি ওয়ানডে ফরম্যাটে যেগুলো পয়েন্ট পদ্ধতির বাইরে হয় সেগুলোয় আমার অংশগ্রহণ দরকার আছে কি না তা নিয়েও ভাবছেন সাকিব। আসলে আমার কাছে আর কোনো পথ নেই। আমি বলছি না যে টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াবো। এমনও হতে পারে ২০২২ সালের বিশ্বকাপের পরে আমি আর টি-টোয়েন্টিই খেলবনা। তখন হয়তো ওয়ানডে আর টেস্ট খেলব। সিদ্ধান্ত যাই হোক জানুয়ারিতে বোর্ডের পরিকল্পনা দেখেই তা জানা যাবে বলে মনে করছেন সাকিব। তবে সব ফরম্যাটে যে একসঙ্গে আর খেলা চালিয়ে যেতে তিনি পারবেন না সেটার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন সাকিব। সাকিব বলেন একসাথে তিন ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব। আপনি যখন ৪০-৪২ দিনের মধ্যে দুইটা টেস্ট খেলেন এটা কোনোভাবেই ফলপ্রসূ হওয়ার মতো বিষয় না। সাকিব বলেন কোন ফরম্যাট খেলব আর কোন ফরম্যাট খেলবনা সে বিষয়ে বিসিবির সঙ্গে ভালোভাবে একটা পরিকল্পনা করা জরুরি। সেই পরিকল্পনা করেই সামনে আগানো হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এই পরিকল্পনা জানুয়ারির মধ্যে হলেই জানতে পারবো পুরো পরিকল্পনা কী হচ্ছে। 
 
        
