৫শ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জেলা প্রশাসনের

| শনিবার , ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৭:৪১ পূর্বাহ্ণ

মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে মহান বিজয় দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের দিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কোর্ট হিলে ৫০ বার তোপধ্বনি, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল ৮টায় এম.এ আজিজ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে মহান বিজয় দিবসের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান এনডিসি।
এসময় পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, কারারক্ষী, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ স্কাউটস, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইড এবং শিশু-কিশোর সংগঠনের বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সালাম গ্রহণ করেন তিনি। পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ্‌ মোহাম্মদ তানভীর, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান ও জেলা পুলিশ সুপার এস.এম রশিদুল হক সালাম গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এসময় জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও শিশু একাডেমিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে শেখ রাসেল চত্ত্বরে নগর ও জেলার ৫’শ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিসান বিন মাজেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান এনডিসি। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, জেলা পুলিশ সুপার এস.এম রশিদুল হক, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্‌ফর আহমদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) একেএম সরওয়ার কামাল ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ। বিকেল সাড়ে ৪টায় নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনও তৎপর। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে গিয়েছিলেন বলেই আজ এই স্বাধীন ভূখন্ড পেয়েছি। আপনাদের দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হই।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতার লাল সূর্য পতাকা। তাই ১৬ ডিসেম্বর আমাদের জীবনে ঐতিহাসিক এক বিজয়ের দিন, গর্ব ও অহংকারের দিন।
সভাপতির বক্তব্য জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই কাজ করতে হবে। সাম্প্রদায়িক শক্তি, মৌলবাদী শক্তি বাংলাদেশে যাতে ক্ষমতায় না আসতে পারে সেজন্য আপনাদের কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে। তারা আবারও মাথাচাড়া দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত। আপনাদের যে যুদ্ধ, সেটি সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে চলমান রাখতে হবে। প্রেস বিঞ্জপ্তি

পূর্ববর্তী নিবন্ধমিয়ানমার থেকে পালিয়ে থাই সীমান্তে আড়াই হাজার মানুষ
পরবর্তী নিবন্ধবিয়ের প্রলোভনে কিশোরী পাচার