চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে অরবিসের সহযোগিতায় জন্মগতভাবে অন্ধ থাকা শিশুদের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পর রঙিন পৃথিবীর আলোয় আলোকিত হলো তাদের জীবন। চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে দুই দফায় ১৯ জন রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের স্থানীয় শিশুর সফল অস্ত্রোপচারের পর সোমবার চোখের বাঁধন খুললে এসব শিশুরা স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায়। পাশাপাশি ওষুধসহ যাবতীয় সেবা প্রদান করা হয়। এর আগে ৫ ডিসেম্বর রোহিঙ্গা ৪ জন পুরুষ, ৪ জন মহিলা ও স্থানীয় ১ জন পুরুষ, ১জন মহিলা শিশু এবং ১২ ডিসেম্বর রোহিঙ্গা ৬ জন পুরুষ, ১ জন মহিলা ও স্থানীয় ১ জন পুরুষ, ১ জন মহিলা শিশুসহ দুই দিনে মোট ১৯ জন শিশুর অস্ত্রোপচার করা হয়।
শিশুদের চোখের অস্ত্রোপচার করেন ডা.মেরাজুল ইসলাম। তাকে সহযোগিতা করেন কক্সবাজার বায়তুশ শরফ হাসপাতালের ম্যানেজার (প্রোগাম এন্ড অপারেশন) শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, অহিদুর রহমান, আব্দুল আউয়াল শাহ, জামিল উদ্দিন বাপ্পী। আই কেয়ার সার্ভিস ফর দা চিলড্রেন অব উখিয়া এন্ড টেকনাফ ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক প্রকল্পের আওতায় আন্ড্রেরী হিলফির সহায়তায় অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় অস্ত্রোপচারে টেকনিক্যাল সার্পোট দিচ্ছে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল।
এর আগে চক্ষু চিকিৎসার জন্য অরবিস পরিচালিত বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শিশুদের এবং নিয়মিত স্কুল সাইট টেস্টিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্থানীয় শিশুদের চোখ পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা প্রদানের জন্য ক.বা.শ হাসপাতালে এবং অস্ত্রোপচারের জন্য চক্ষু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর একজন অভিভাবক বলেন,এতদিন সন্তানের চোখ নিয়ে যে দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম তা এখন কেটে গেছে। আমরা অরবিসসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞ, যারা আমাদের সন্তানদের চোখের চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ বহন করেছে। এই চিকিৎসার ফলে আমাদের সন্তানদের সঠিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
