কোমায় যে প্রাণটা বেঁচে থাকে আমরা তার ফিরে আসার জন্য ও প্রার্থনা করি।আর প্রার্থনা তখন কাজ দেবে যখন প্রয়োজনমত সুচিকিৎসা চলবে। বাংলাদেশ এখন কোমায়। কেন বলছি? নিত্য নতুন কলংক অধ্যায় সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তুু কোনো সুঅধ্যায় সৃষ্টি তো হচ্ছে না। কারণ সুঅধ্যায়ের সৃষ্টি কে আমরা ঠিক কতটুকু গ্রহন করছি?
শুরু হয়েছে “মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বই উৎসব”। এমন আয়োজন মুক্তিযুদ্ধের কষ্টার্জিত বিজয়ের স্মারক বলে আমি মনে করি। আমাদের উত্তরসূরীদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাথা জানানোর এর চেয়ে বড় সুযোগ এটা।বই কিনে মানুষ কখনও দেউলিয়া হয়না। বরং কলংকের মধ্যে নিহত হওয়া থেকে বাঁচে। যাঁরা বুঝেন যে আসলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভালো করে জানেনা বলেই এ দেশে এত সমস্যা সংকট প্রকট তাঁরা কিন্তুু সমানে চেষ্টা করে যাচ্ছে ঐ ইতিহাস কে তুলে ধরার তাদের লেখনীর মাধ্যমে। যে ভাষায় আমরা আজ লিখছি, কথা বলছি এই ভাষাটাকে মর্যাদা দিতে কত জীবন, কত সময়, কত রাজপথ রক্তে ভাসলো তা জানতে হবে। তবেই না ওই কষ্ট কে সার্থক করার চেষ্টা করবে উত্তরসূরীরা। রাত বাড়লেই না আমরা ভোরের অপেক্ষা করা আরো বাড়িয়ে দিই।কলংক অধ্যায় হোক, কিন্তুু আমরা ও আমাদের সুকাজগুলো করা আরো বেশি বাড়িয়ে দিব।আমরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়বো এবং জানাবো প্রতি কানে। এবং তার জন্য আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়তে হবে। একটি দেশের সবাই গুণী নয়। কিন্তুু বেশিরভাগ মানুষ যখন ভালো কাজ করবে তখন তাদের দেখাদেখি ভালো হওয়ার চেষ্টা করে। আমরাও তাই করবো। আমরা বই পড়বো। এ বিজয় দিবসে সেটাই হোক অঙ্গীকার। লেখক : কবি