স্বপ্নের দোহাজারী সাঙ্গু সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরু

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৩০ নভেম্বর, ২০২১ at ১০:০১ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের চন্দনাইশের দোহাজারী সাঙ্গু সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। রোড মার্কিং শেষে আজ মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় উক্ত সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য প্রাথমিকভাবে উম্মুক্ত করা হয়। এর আগে উক্ত সেতুর সংযোগ সড়কসহ তিন লেনের কাজ পুরোপুরি শেষ করা হয়।

এদিকে, নবনির্মিত তিন লেনের সাঙ্গু সেতুটি যানবাহন চলাচল জন্য খুলে দেয়ার পরপরই পাশে বিদ্যমান পুরনো সেতুটিও অপসারণের কাজও শুরু করা হয়েছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কটি নির্মিত হবে ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়ে। সে ডিজাইনের সাথে সঙ্গতি রেখেই মহাসড়কের দোহাজারী সাঙ্গু সেতুসহ চারটি সেতু নির্মিত হচ্ছে ছয় লেনের।

ক্রসবর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক জুলফিকার আহমেদ দৈনিক আজাদীকে জানান, ৭৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কে ছয় লেনের চারটি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এগুলো হলো ২৩৮ মিটার লম্বা দোহাজারী সাঙ্গু সেতু, ৩২১.৪৫ মিটার লম্বা চকরিয়ার মাতামুহুরী সেতু, চন্দনাইশের বরুমতি খালের উপর ৬০.১৫ মিটার লম্বা মাজার পয়েন্ট সেতু এবং ৬০ মিটার লম্বা পটিয়ার ইন্দ্রপুল সেতু। প্রতিটি সেতুরই প্রস্থ ৩১.২০ মিটার।

এরমধ্যে গত ১০ নভেম্বর চকরিয়ার মাতামুহুরী সেতুটির তিন লেনের কাজ শেষে যানবাহন চলাচলের জন্য প্রাথমিকভাবে উম্মুক্ত করা হয় এবং সর্বশেষ আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দোহাজারী সাঙ্গু সেতুটিও যানবাহন চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করা হলো। পাশাপাশি এই ২টি সেতুর পাশে বিদ্যমান পুরোনো সেতু ২টি অপসারণের কাজ চলছে। পুরনো সেতু ২টি পুরোপুরি অপসারণ করা হলে বাকি তিন লেনের কাজও দ্রুততার সহিত শুরু করা হবে।

তিনি আরো জানান, যানবাহন চলাচলের জন্য প্রাথমিকভাবে উম্মুক্ত করে দেয়া দোহাজারী সাঙ্গু সেতু ও চকরিয়ার মাতামুহুরী সেতু চলতি ডিসেম্বও মাসের ১ম সপ্তাহেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা দ্রুততার সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও চন্দনাইশের বরুমতি খালে মাজার পয়েন্ট সেতুটি একসাথে ছয় লেনের কাজই শেষ হয়েছে। এখন এপ্রোচ সড়কের কাজ চলমান। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে মাজার পয়েন্ট সেতুর শতভাগ কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করেন। এছাড়া পটিয়ার ইন্দ্রপুল সেতুর কাজ ৩৫ ভাগ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা যায়, বাংলাদেশ সরকার ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)’র অর্থায়নে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এই চারটি সেতু নির্মিত হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় এই চারটি সেতু নির্মাণ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্প্রেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। উক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গত ২০১৮ সাল থেকে সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করে। ডিজাইন অনুযায়ী সেতুর নির্মাণ কাজ সরাসরি তদারকি করছেন জাইকা’র নিজস্ব টিম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে স্থগিত চার ইউনিয়নে পুন:ভোটগ্রহণ
পরবর্তী নিবন্ধপেকুয়ায় জামানত হারালেন ২৬ প্রার্থী