নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় ‘ভালো করে কাজ করতে’ বলায় জুনিয়রের কাঁচির আঘাতে আহত সিনিয়র শাহাদাত হোসাইন (২২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গত ৭ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটলেও ১৩ নভেম্বর রাত ১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত শাহাদাত সাতকানিয়া উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের আবুল হোসাইনের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে বায়েজিদের মোজাফফর কলোনিতে থাকতেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত মোহাম্মদ তারেক ফটিকছড়ি উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া চৌমুহনী এলাকার মোহাম্মদ রফিকের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান আজাদীকে বলেন, শাহাদাত বায়েজিদের আরাফাত এন্ড নিহা ফ্যাশন গার্মেন্টেসে লাইন সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ৭ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কারখানায় কাজের সময় তিনি অধস্তন কর্মচারী মোহাম্মদ তারেককে (১৫) ভালো ভাবে কাজ করতে বলেন। এতে রেগে যায় তারেক। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারেক
শাহাদাতকে কাঁচি দিয়ে পেটে আঘাত করে। পরবর্তীতে অভিযুক্ত শাহাদাতকে পার্শ্ববর্তী ‘মা মেডিকেল হল’ এ চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক ওসমানের সহায়তায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। চিকিৎসক ওসমান ক্ষতস্থানে সেলাই করে তেমন গুরুতর কিছু নয় বলে তাকে পাঠিয়ে দেন।
তিনদিন পর শাহাদাতের অবস্থার অবনতি হলে ১১ নভেম্বর দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। ১৩ নভেম্বর রাত ১টার দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহাদাত মারা যান। এ ঘটনায় তারেককে ১ নম্বর আসামি করে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, কারখানার মালিক ও হুমকি দেয়ার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ৭/৮জনের বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানায় অভিযোগ করা হয়।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, অভিযোগের পর কারখানার মালিক, ফার্মাসিস্ট এবং প্রধান অভিযুক্ত তারেকের বাবাকে আটক করেছি। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।












