সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের বিবৃতিকে ‘সত্যের অপলাপ’ আখ্যায়িত করে তার পদত্যাগ দাবি করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে ধিক্কার মিছিলের আগে এক সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা আয়োজিত এই সমাবেশে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত স্বাক্ষরিত একটি লিখিত ঘোষণাপত্র বিতরণ করা হয়। তাতে বলা হয়, এই সমাবেশ সাম্প্রতিক দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের গত ২৮ অক্টোবর প্রকাশিত ও প্রচারিত বিবৃতিকে সত্যের অপলাপ হিসেবে আখ্যায়িত করছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নিয়ে প্রচারিত ঘটনাগুলোকে ‘চলমান প্রপাগাণ্ডা’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, অতি উৎসাহী কতিপয় গণমাধ্যম ও ব্যক্তি ঘটনাকে কেন্দ্র করে মনগড়া কাহিনী প্রচার করছে সরকারকে হেয় করার জন্য। ঐক্য পরিষদ বলছে, সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে লঘু করে দেখানোর পাশাপাশি ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনভূতিকে কোনোভাবেই বিবেচনায় নেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার বক্তব্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করেছে। রানা দাশগুপ্ত বলেন, আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছি। ঘোষণাপত্রে যা যা বলা হয়েছে তাই আমাদের বক্তব্য। ঘোষণাপত্রে বলা হয়, সাম্প্রদায়িকতা চলাকালে প্রধানমন্ত্রী ও পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সামগ্রিক ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে যেভাবে বক্তব্য রেখেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য তার সম্পূর্ণ বিপরীত। যা পৃথিবীজুড়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সভা মনে করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী সরকারে থাকার যোগ্যতা তিনি হারিয়েছেন। ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি প্রকৌশলী পরিমল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষের সঞ্চলনায় সমাবেশে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুকুমার চৌধুরী, ইসকনের মুকুন্দ ভক্তি দাশ, ঐক্য পরিষদ নেতা ইন্দু নন্দন দত্ত, দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক তাপস হোড়, সুমন কান্তি দে, সাগর মিত্র প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।