পলিথিনের ব্যবহার রোধ করা এখন সময়ের দাবি। পলিথিনের ব্যবহার পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। কিন্তু বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পলিথিনের স্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সবজি, মাছ, তরিতরকারি থেকে শুরু করে নানান মুদিপণ্য ক্রয় করতে আমরা পলিথিন ব্যবহার করেই চলেছি। পরিবেশবিদদের নানান প্রচার-প্রচারণা এবং সরকারের পক্ষ হতে কাগজের ব্যাগ কিংবা পলিথিনের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু পলিথিন ব্যবহারে আমরা এতটাই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে আমরা পলিথিন এর পরিবর্তে বিকল্প কিছু ব্যবহার করতে নিজেদের সংযত করতে পারছি না। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই বাজারের থলে ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু শহরের মানুষদের থলে ব্যবহার করার অভ্যাস না থাকায় পলিথিনের ওপর তারা অধিক নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। যার ফলপ্রসূ শহরের নালাগুলোতে প্রতিনিয়ত পলিথিন ভেসে থাকতে দেখা যায়। এতে পরিবেশ অত্যন্ত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাচ্ছাড়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০০২ সালে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধের বিধান করেছিল। হাইকোর্ট একদা ব্যবহারযোগ্য পলিথিন এবং প্লাস্টিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলো। তবে তা কিছুদিনের বেশি কার্যকর হয়নি।এর জন্য আমাদের অসচেতনতা, প্রশাসনের গাফিলতি আর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাই দায়ী। পলিথিন আমাদের পরিবেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা জেনেও প্রতিনিয়ত আমরা এ ভুল করে চলেছি। পলিথিন পচনশীল না হওয়ায় পরিবেশের ওপর এর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। পলিথিনের ব্যবহার রোধ করতে সরকারকে আরো জোরালোভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সর্বোপরি, জনসাধারণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদেরকে আরো সচেতন হতে হবে এবং পলিথিনমুক্ত সমাজ গড়তে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।