স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১৭টি নথিসহ ফাইল হারানোর ঘটনা তদন্তে ছয় কর্মচারীকে ঢাকায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জনসংযোগ) আজাদ রহমান গতকাল বলেন, রোববার দুপুরে তাদের তদন্তকারীরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করেন। তখনই স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ক্রয় সংক্রান্ত শাখার ছয় কর্মচারীকে সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
তাদের নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি বলেন, ওই শাখায় যারা ফাইলগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করত, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় তো শুধু জিডি হয়েছে। তাই কীভাবে মিসিং হতে পারে তা জানতেই মূলত তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি আমরা। খবর বিডিনিউজের।
বাংলানিউজ জানায়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের হারিয়ে যাওয়া ফাইলগুলো তেমন গোপনীয় নয় জানিয়ে এ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর বলেছেন, ফাইল হারিয়ে যাওয়াটাই বড় বিষয়। ১৭টি ফাইল হারানোর পর গতকাল পুলিশের তদন্ত শুরুর দিন নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ফাইলগুলো কী সংক্রান্ত ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো ক্রয় সংক্রান্ত। এগুলো তেমন গোপনের কিছু নেই। প্রত্যেকটা ফাইলের তথ্য আমাদের অন্যান্য বিভাগেও আছে, আমাদের কম্পিউটারেও আছে, আমাদের ডিজি অফিসগুলোতেও আছে। এটা নিয়ে তেমন সমস্যা না, কিন্তু মূল বিষয়টা হচ্ছে ফাইল মিসিং হওয়াটা। এটি হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়। এটিই উদ্ধারের চেষ্টা করছি। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে ১৭টি নথি হারিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার শাহবাগ থানায় জিডি করেন উপসচিব (প্রকল্প বাস্তবায়ন-১ শাখা, অতিরিক্ত দায়িত্ব ক্রয় ও সংগ্রহ-২) নাদিরা হায়দার। পরদিন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। এরপর গতকাল দুপুরে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই শাখায় যায়।