‘শিক্ষকতা’ হলো একটি ‘ব্রত’ এবং ‘সেবামূলক পেশা’। এই পেশায় সততা ও নৈতিকতা অতিমাত্রায় জড়িত। নৈতিকতাবোধ জাগ্রত না হলে এবং দায়িত্ববান না হলে, কারো পক্ষে এ পেশা গ্রহণ করা উচিত নয়। পৃথিবীতে যত গুলো পেশা আছে, শিক্ষকতা হলো তার মধ্যে চিন্তাশীল, সৃজনশীল ওসম্মানজনক পেশা। যিনি “-শিক্ষার্থীর মনে সুকুমার বৃত্তিগুলোর পরিচর্যা করেন, শিক্ষার্থীদের আদর্শ মানুষ রূপে গড়ে তোলেন, তিনিই শিক্ষক। সততা, নৈতিকতা, উদারতা, আধুনিকতা,ব্যক্তিত্ব তথা সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষকই হলেন -‘আদর্শ শিক্ষক’। শিক্ষক শুধু শিক্ষাই দান করেন না, সমাজের চোখে তিনি মানুষ গড়ার কারিগরও। ব্যক্তিগত জীবনে শিক্ষক” ন্যায়, নীতি ও সততার চর্চা করবেন, জ্ঞান চর্চা করবেন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত ও সৃজনশীল চিন্তা করবেন, -আমাদের সমাজ শিক্ষকদের নিকট এইটা প্রত্যাশা করে। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী একে অপরের পরিপূরক। বাট্রান্ড রাসেলের মতে ‘শিক্ষকের কাজ দুইটি। ১. শিক্ষার্থীদের পাঠের প্রতি আগ্রহী করে তোলা। ২. সেই আগ্রহ নিবৃত করা।’
রবীন্দ্রনাথের মতে, ‘বিদ্যা যে দেবে এবং বিদ্যা যে নেবে তাদের উভয়ের মাঝখানে যে সেতু, সেই সেতুটি হচ্ছে ভক্তিস্নেহের সম্বন্ধ। সেইআত্মীয়তার সম্বন্ধ না থেকে যদি কেবল শুস্ক কর্তব্য বা ব্যবসায়ের সম্বন্ধই থাকে তা হলে যারা পায় তারা হতভাগ্য, যারা দেয় তারা ও হতভাগ্য’।
আগেকার দিনে শুধু মাত্র সম্মানের প্রত্যাশায় ও সামাজিক মর্যাদার জন্য কিছু উচ্চশ্রেণির লোকেরা (যাদের কোন অভাব ছিলনা) এ পেশায় নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখতেন। যারা নীতিবান, আদর্শবান ও মর্যাদাসম্পন্ন তারাই শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করে শিক্ষার্থীদের মাঝে নীতি নৈতিকতা, আদর্শ, দেশপ্রেম ও মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করে তুলতেন।
ব্রিটিশ আমলে এমন কি পাকিস্তান আমলে ও ‘শিক্ষার মানএবং শিক্ষকের মর্যাদা ছিল ঈর্ষণীয়’। তখনকার দিনে শিক্ষকেরা ছিলেন প্রগতিশীল এবং পাঠদানে আত্ননিবেদিত। তাঁদের সহজ সরল অনাড়ম্বর জীবন যাপন, উচ্চনৈতিকতাবোধ,গভীর প্রজ্ঞা শিক্ষার্থীদের বিমোহিত করে রাখতো। তারা প্রায় সবাই ছিলেন -‘অসামপ্রদায়িক ও নির্মল চরিত্রের অধিকারী’। ফলে তাঁদের ত্যাগী জীবনের প্রভাব শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতো সামষ্টিক কল্যাণে ব্রতী হতে।
ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্ক হলো -‘আত্মিক’। ছাত্রের দেহ,মন ও আত্মার বিকাশ সাধনে ছাত্র শিক্ষক সম্পর্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষক হবেন শিক্ষার্থীর পরম বন্ধু, উপযুক্ত পথ প্রদর্শক। একজন আদর্শ শিক্ষকের বৈশিষ্ট্য হলো ‘যে কোন সমস্যা শিক্ষার্থীদের বোঝানোর -‘ক্ষমতা ও দক্ষতা’। সব ধরনের পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া। শিক্ষার্থীদের আনন্দের সাথে পাঠ দান করা যাতে শিক্ষার্থীরা পাঠগ্রহণে মনোযোগী হয়।শিক্ষাক্রম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা, উপস্থাপনের দক্ষতা, সদালাপী, কথায়, কাজে, পোশাকে, রুচিতে পেশায় ও কর্তব্য পালনে আদর্শবান, সত্যপ্রিয় এবং অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।
একজন প্রকৃত শিক্ষকই ধারাবাহিক ভাবে শিক্ষার্থীকে সহজ থেকে কঠিন, জানা থেকে অজানার জ্ঞান সমুদ্রে, বাস্তব ও সত্য অনুসন্ধানে সাহায্য এবং মূল্যায়ন করতে পারেন। শিক্ষার- ‘গুণগত মান বৃদ্ধি’ করা বর্তমান সময়ের অন্যতম
দাবি।এটি অর্জনের অন্যতম কারিগর হচ্ছেন শিক্ষক। শিক্ষক সম্পর্কে উইলিয়াম আর্থার ওয়ার্ডের বিশ্লেষণ যথার্থ। তিনি বলেছেন ‘একজন সাধারণ শিক্ষক বক্তৃতা করেন, একজন ভালো শিক্ষক বিশ্লেষণ করেন, একজন উত্তম শিক্ষক প্রদর্শন করেন। একজন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক অনুপ্রাণিত করেন’।
সমাজের আর পাঁচটি পেশা থেকে- ‘শিক্ষকতা পেশাটি’- ভিন্ন, এর মর্যাদা ও ভিন্ন। শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের স্বার্থ ও অধিকার বাস্তবায়নের দায়-দায়িত্ব ‘সরকার বা রাষ্ট্রকেই’ নিতে হবে। আবার আর্থিক সুবিধা কম হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করবেন, এমন মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তি শিক্ষকতা পেশায় আসা উচিত নয়।সবকিছুকে অর্থমূল্যে বিচার করা যায়না। কারণ শিক্ষকতা হলো- ‘সেবামূলক পেশা’ সামপ্রতিক কালে শিক্ষকদের বাস্তবিক অবস্থা আগের তুলনায় অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমান সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি মানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করতে গত দশ বছর ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।শিক্ষার প্রসার ও জনগণকে শতভাগ শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার জন্য নানামুখি উদ্যোগ ও গ্রহণ করেছেন। সরকার- এমপিওভুক্ত,বেসরকারি, ২৮হাজার স্কুল, কলেজ মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় ৫লক্ষ শিক্ষক কর্মচারী কে জাতীয় পে স্কেলের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। প্রজাতন্ত্রের সব কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও দ্বিগুণ করেছেন। তারপর ও বলতে হয়-সরকারি চাকুরিজীবীদের তুলনায়, বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের- বেতনভাতা ও মানমর্যাদা সমাধান আশাব্যঞ্জক হয়নি।এখনো দাবী আদায়ের জন্য শুধু বেসরকারি শিক্ষকরা নন, নিজেদের আত্মসম্মান ও মর্যাদা রক্ষার জন্য সরকারি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেন।
আকষর্ণীয় বেতন ভাতা ও মর্যাদা না থাকার কারণে লেখা পড়া জানা ভালো ছাত্র ছাত্রীরা এখন এই পেশায় আসতে চান না। আগের মত সন্মানের আশায়, মন থেকে ভালোবেসে আর কেউ এই শিক্ষকতা পেশায় ও আসছেন না। এখন প্রবাদ হলো- “যার নাই চাকরি, তিনি করেন মাস্টারি”। আর্থিক স্বচ্ছলতা কম থাকার কারণে কিছু মুষ্টিমেয় শিক্ষক-” টিউশনি কোচিং বাণিজ্যের ‘সাথে জড়িয়ে গেছেন।এদের কারণেই -‘শিক্ষক সমাজের মানসম্মান ও শিক্ষারমান’ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে। তাতেইএখন শিক্ষার মান ও শিক্ষকদের মর্যাদা হতাশাজনক অবস্থায় আছে। সাধারন মানুষ এখন শিক্ষকদেরকে আগের মত সন্মানের চোখে দেখে না। এখন আমাদের দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে উল্টো শিক্ষা বিরোধী দুটি ব্যবস্থা চালু আছে। “উদ্দেশ্য মূলক সরকারি করণ ও অবাধ প্রাইভেটাইজেশন। এই বল্গাহীন প্রাইভেটাইজেশনের ফলে উচ্চশিক্ষার মান যে ব্যাপক ভাবে নেমে গেছে তা সরকার নিজে স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে।
১৯৯৩ সালে শুরু হওয়া শিক্ষা প্রাইভেটাইজেশন এখন আর ও জোরদার হয়েছে।শিক্ষা এখন একটি ক্রয়যোগ্য পন্য বিশেষ। নীতিহীন কিছু ব্যবসায়ী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিক।”এখন টাকা যার শিক্ষা তার”। ফলে শিক্ষা ও শিক্ষকদের মান মর্যাদা প্রায় ভূলুণ্ঠিত। শিক্ষার এই পণ্যায়ন ভীষণ ভাবে প্রভাবিত করছে -সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধকে।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিকে দুটি জিনিস দিয়ে গিয়েছিলেন। একটি হলো ‘বাংলাদেশ সংবিধান’ অন্যটি হলো ‘কুদরত -ই-খুদা, শিক্ষা কমিশন’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে সমগ্র প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন। তিনি তৎকালীন দেশের মেধাবী ও সৃজনশীল এবং প্রগতিশীল শিক্ষকদের সমন্বয়ে “ডঃ কুদরত ই খুদার -নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের মাধ্যমে একটি বিজ্ঞানমনস্ক,অসামপ্রদায়িক একমুখী ও সার্বজনীন শিক্ষার নীতিমালা প্রণয়নের দায়িত্ব প্রদান করেছিলেন। ১৯৭৪সালে-” কুদরত-ই-খুদা,,শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়,-যার মূল লক্ষ্য ছিল -“শিক্ষা ব্যবস্থার জাতীয়করণ”।” ৭৫-এর পটপরিবর্তন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর, এ রিপোট আর বাস্তবায়িত হয়নি। শিক্ষকদের দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর,বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সবার মতামতের ভিত্তিতে ‘শিক্ষা নীতি ২০১০’-প্রণয়ন করেন। যার উদ্দেশ্য ছিল- ধাপে ধাপে সমগ্র ‘শিক্ষা ব্যবস্থার জাতীয়করণ’। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বিগত দশ বছর পর্যন্ত এই শিক্ষা নীতির একটি লাইন ও বাস্তবায়িত হয়নি। বরং এই শিক্ষানীতিকে ৭২সালের সংবিধানের সংশোধনীর-মত ‘জনবলকাঠামো’-নাম দিয়ে আমলারা প্রতিনিয়ত সংশোধন করে চলেছেন। যার ফলে ৯০ভাগ শিক্ষার্থীর দায়িত্ব পালনকারী বেসরকারি শিক্ষকদের উপর খড়গ নেমে এসেছে। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে শিক্ষকেরা শ্রেণী কক্ষে পাঠদান বাদ দিয়ে ‘নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা ও মান-মর্যাদায় টিকে’ থাকার জন্য বারবার রাজপথে আন্দোলন করে যাচ্ছেন।অবস্থা দেখে মনে হয় কোনো ‘দুষ্টচক্র’ সুপরিকল্পিত ভাবে দুরভিসন্ধিমূলক এই শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষনীতির ভেতরে কাজ করে চলেছেন। ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু কিছু পরিবর্তন ঘটানো হচ্ছে,যাতে ‘বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষকেরা সম্মানের সাথে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। এখন আবার নতুনভাবে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ- নিয়োগ বিধিমালায় জটিলতা সৃষ্টি, সহকারী অধ্যাপক পদ নিয়ে ষড়যন্ত্র, সহযোগী অধ্যাপক পদ ও অধ্যাপক পদ বাদ দেওয়ার মত ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। স্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষকের স্কেল না দেওয়া এবং শিক্ষার্থীর অনুপাতে অতিরিক্তশিক্ষককে এমপি ও না দেওয়ার ফলে বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় অরাজকতা বিরাজ করছে।এক কথায় বেসরকারি শিক্ষকদের হেনস্তা করা হচ্ছে তাদের ‘মান-মর্যাদার’ বিষয়টি এখন ‘আমলাতন্ত্রের লাল ফিতায়’ বন্দী।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতির নামে অত্যন্ত ক্ষতিকর পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।যা মানসম্মত নয়, তার প্রমাণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভত্তি পরীক্ষায় বিগত বছরগুলোতে পাওয়া যায়। সৃজনশীল পরীক্ষার কারণে গাইড বইয়ের বোঝা ক্রমাগত বাড়ছে। তাতেই এখন কোচিং সেন্টার ও গাইড বইয়ের ব্যবসায় ‘স্বর্ণযুগ’ দেখা দিয়েছে। সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি মানসম্মত না হওয়ায় শিক্ষার মান ও নেমে গেছে। জরিপে দেখা গেছে বিশ্বের ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়নি। জাতি ও রাষ্ট্র গঠনের কোন চিন্তা শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে নেই। শিক্ষানীতি ও শিক্ষাব্যবস্থার ক্রমবর্ধমান নিম্ন গামিতার কোন প্রতিকার ও হচ্ছে না।এটাই এখন ভাবনার বিষয়।
গভীর ভাবে চিন্তা করলে দেখা যায়, কোন জাতির প্রাণশক্তির আধার হলো তার -‘শিক্ষা ব্যবস্থা’ বা ‘শক্ষা দর্শন’! আর শিক্ষাব্যবস্থার প্রাণশক্তি থাকে তার ‘পাঠ্যপুস্তকে, পাঠ্যবিষয়েও পাঠ্যক্রমে। আর উচ্চশিক্ষার ভিত্তি -‘প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায়। সুতরাং দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত যাতে করে ‘দেশের রাজনীতি, প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, সুষ্ঠু ধারায় চালিয়ে নেওয়ার মতো লোক’ এই শিক্ষাব্যবস্থার ‘ভিতর থেকেই তৈরী হয়। যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য, শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করে শিক্ষকতা পেশাকে আকর্ষণীয় ও সম্মানজনক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। শিক্ষকদের আর্থিক মর্যাদা বৃদ্ধি করতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ -গড়ার লক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করেই যাচ্ছেন এবং উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়েও যাচ্ছে বাংলাদেশ। সরকার শিক্ষার টেকসই উন্নয়নের-‘২০৩০লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি ৪) পূরণ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ’। মানসম্মত শিক্ষা ব্যতীত সেই উন্নয়ন কখনো সম্ভব নয়। তাই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষার দায়দায়িত্ব সরকার বা রাষ্ট্রকেই গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে এবং শিক্ষকদের মর্যাদা ও বৃদ্ধি পাবে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সকল বৈষম্য দূরীভূত হবে।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, নাজিরহাট কলেজ।