ভালোবেসে স্ত্রীকে এবার চাঁদে জমি কিনে দিলেন স্বামী এম ডি অসীম। তিনি খুলনা মহানগরীর মডার্ন ফার্নিচার মোড় এলাকার বাসিন্দা ও বেসরকারি একটি টেলিভিশনের খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি। গতকাল বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রী ডা. ইসরাত টুম্পার হাতে চাঁদের জমির দলিল তুলে দেন অসীম। অসীম বলেন, স্ত্রীকে ভালোবেসে কেউ কেউ আবেগী হয়ে আকাশের চাঁদ এনে দেওয়ারও প্রতিজ্ঞা করেন। কিন্তু স্ত্রীকে চাঁদ এনে দিতে না পারলেও চাঁদের বুকে এক টুকরো জমি কিনে দিতে পেরে আমি খুব খুশি। খবর বাংলানিউজের।
তিনি বলেন, স্ত্রীকে কথা দিয়েছিলাম কোনো এক বিবাহবার্ষিকীতে তাকে বিশেষ উপহার দিয়ে অবাক করবো। গত বছর জানতে পারলাম ভারতের এক ব্যক্তি বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীকে চাঁদে জমি কিনে দিয়েছেন। এ ঘটনা জানতে পেরে, আমাদের বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীকে চাঁদের জমি কিনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। গত ২০ সেপ্টেম্বর মার্কিন নাগরিক ডেনিস হোপের ‘লুনার অ্যাম্বাসি’ থেকে ৪৫ ডলারের বিনিময়ে এ জমি কিনেছি। জমি কেনার পর আমাদের একটি বিক্রয় চুক্তিনামা, কেনা জমির একটি স্যাটেলাইট ছবি এবং জমিটির ভৌগোলিক অবস্থান ও মৌজা-পর্চার মতো আইনি নথিও পাঠিয়েছে সংস্থাটি। যা আজ স্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছি। ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তাদের বিয়ে হয়। দীর্ঘ ছয় বছরের বিবাহিত জীবনে তাদের ফারদিন ইসলাম অমি নামে চার বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। ইসরাত টুম্পা বলেন, চাঁদে জমি পেয়ে আমি খুব খুশি। আমি ভাবতেও পারিনি স্বামী আমাকে এমন একটি বিশেষ উপহার দেবেন। প্রসঙ্গত, চাঁদে জমি কেনার জন্য মার্কিন নাগরিক ডেনিস হোপের ‘লুনার অ্যাম্বাসি’-ই হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় কোম্পানি। তাদের তথ্যানুযায়ী, চাঁদে জমির দাম প্রতি একর ২৪ দশমিক ৯৯ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ৪৯৯ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২ হাজার ১২৫ টাকা থেকে ৪২ হাজার ৪৩৭ টাকা। যদিও পৃথিবীর বাইরে চাঁদ ও মহাকাশের অন্য কোনো গ্রহ পুরো মানবজাতির সম্পদ। কোনো ব্যক্তি বা জাতি এটি কিনতে পারেন না। তবে কিছু কিছু ওয়েবসাইট উপহার দেওয়ার জন্য চাঁদে জমি বিক্রি করে থাকেন। এমনকি সার্টিফিকেটও দেন।