অ্যান্টিবায়োটিকের বিষয়টি জটিল, সব পক্ষেরই ভূমিকা চাই

ডা. এম এ ফয়েজ

| বুধবার , ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৬:৪০ পূর্বাহ্ণ

বিশিষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক, খ্যাতিমান মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজ আজাদীকে বলেন, আমাদের দেশে জীবাণুবাহী রোগ নির্ণয়ের সুবিধা অত্যন্ত অপ্রতুল। রোগ নির্ণয়ে সমস্যা হওয়ায় সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হয়। অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায় ওষুধের দোকানে। কিন্তু ওষুধের দোকানে কোনো ফার্মাসিস্ট নেই। ওষুধ প্রশাসনের নীতিমালায় ওষুধের দোকানে ফার্মাসিস্ট থাকতে হবে। শুধুমাত্র ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ বিক্রি করতে হবে। একইসাথে ওষুধ ক্রেতাকে ওষুধ কিভাবে খেতে হবে সেটি বুঝিয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে প্রেসপিক্রপশন ছাড়া যে কেউ ওষুধ কিনতে পারছে। সেটি অ্যান্টিবায়োটিক হোক কিংবা প্যারাসিটামল হোক। আবার যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণেও অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা হারাচ্ছে। এর বাইরেও কারণ আছে, আমরা মাছ-মাংস খাচ্ছি। সেই মাছ-মাংসেও অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে। পোল্ট্রি ফার্মে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ হচ্ছে। গরু-ছাগল ও মৎস্য খামারেও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে। আমরা সেই খাবার খাচ্ছি। এছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও অত্যন্ত খারাপ। সঠিকভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না হওয়ার কারণে সেগুলো প্রকৃতিতে মিশে যাচ্ছে।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, মনে করুন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক হাজার জীবাণু সংক্রমিত রোগী আছেন। তারা অ্যান্টিবায়োটিক নিচ্ছেন। তাদের পায়খানা-প্রশ্রাবগুলো কোথায় যাচ্ছে? প্রকৃতিতেই যাচ্ছে। এগুলোর তো আলাদা ম্যানেজমেন্ট নেই। বিষয়টি আসলে অনেক জটিল। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকেও স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। এখন তো পয়সা দিলে ওষুধ ঘরেও পৌঁছে দিচ্ছে। এটি এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। চিকিৎসক, ফার্মেসি ও ওষুধ ক্রেতাসহ সব পক্ষকে ভূমিকা রাখতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্লট বরাদ্দে অনিয়ম হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে : মেয়র
পরবর্তী নিবন্ধ৭০ শতাংশের মধ্যে অকার্যকর