প্লট বরাদ্দে অনিয়ম হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে : মেয়র

লেকসিটি হাউজিং সোসাইটি

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৬:৪০ পূর্বাহ্ণ

১৫ বছর আগে গৃহীত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আবাসন প্রকল্প লেক হাউজিং সোসাইটির নির্ধারিত ফি পরিশোধ করেও প্লট বুঝে পায়নি ৯৮ জন গ্রাহক। উল্টো চসিকের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজের এবং স্বজনদের নামে প্লট বুঝে নিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। এ অবস্থায় প্লট ব্যবস্থাপনায় কোনো অনিয়ম হয়েছে কী না তা তদন্ত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। গতকাল সকালে টাইগারপাসস্থ চসিকের কনফারেন্স রুমে লেকসিটি হাউজিং সোসাইটি সমিতির নেতৃবৃন্দ বৈঠক করেন মেয়রে সঙ্গে। সভায় সমিতির নেতারা র্দীঘদিনেও প্লট বুঝে না পাওয়া হতাশা ব্যক্ত করলে মেয়র তদন্তের ঘোষণা দেন।
এসময় মেয়র বলেন, লেকসিটি হাউজিং সোসাইটিতে সদস্য ছাড়া কর্পোরেশনের কোন কর্মকর্তা ও বাইরের কেউ অনিয়মতান্ত্রিক বা দুর্নীতির মাধ্যমে প্লট পেয়েছে কিনা তা তদন্ত করে বের করার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কর্পোরেশনের অনেক সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাও প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তা হলে সব বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়াই সমচীন হবে। মেয়র প্লটের জন্য পূর্বে যারা টাকা জমা দিয়েছেন তাদেরকে বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী বাড়তি টাকা জমা দিলে প্লট বরাদ্দ দেয়া যায় কিনা ভেবে দেখবেন বলেও আশ্বাস দেন।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছিল চসিক। ইতোমধ্যে ২ দশমিক ৫ কাঠা করে ৪৪৮জন প্লট বুঝে পেয়েছেন। ৯৮ জন এখনো তাদের প্লট বুঝে পাননি। এ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, নিয়মানুযায়ী সবারই প্লট পাওয়ার কথা। যেহেতু সবাই টাকা জমা দিয়েছেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে কাঠা প্রতি ৬ লাখ টাকা করে জমা দিয়ে অনেকে প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন আবার অনেকে ৮ লাখ টাকা করে জমা দিয়েও প্লট পাননি।
তিনি বলেন, কর্পোরেশন কোন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নয়। এই প্রতিষ্ঠানটি জনগণের করের উপর নির্ভরশীল আর বর্তমান কর্পোরেশনের আর্থিক সঙ্গতি বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে, এই সমস্যার সমাধান করতে হলে বাস্তবমুখী চিন্তা-ভাবনা করে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান।
সভায় উপস্থিত ছলেন কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত ভু-সম্পত্তি কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন, লেকসিটি হাউজিং সোসাইটির সভাপতি এ. কে. এম মুজিবুল হক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. আফাজউল্লাহ চৌধুরী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই ডোজ টিকায় ৬ মাস পরও অ্যান্টিবডি
পরবর্তী নিবন্ধঅ্যান্টিবায়োটিকের বিষয়টি জটিল, সব পক্ষেরই ভূমিকা চাই