বন্দর নগরীর অতি গুরুত্বপূর্ণ শেখ মুজিব সড়ক এবং বিমানবন্দর সড়কটি খানাখন্দে পরিপূর্ণ হয়ে প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে লাখো মানুষকে। তাই অতিসত্বর সড়ক দুটি মেরামত করে চলাচল উপযোগী করে তুলতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন চসিক সাবেক প্রশাসক এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি এ অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেওয়ার পর থেকেই নগরীতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন সেবা সংস্থা নগরীতে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলাকালীন সময়ে জনগনের সাময়িক কিছুটা ভোগান্তি হতে পারে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের নামে নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শেখ মুজিব সড়ক এবং বিমানবন্দর সড়কটি যান ও জনগনের চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ এলাকায় একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দুইটি ইপিজেড, তেল শোধনাগার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সার কারখানা, ব্যাংক, বীমা, নৌ ও বিমান বাহিনীরসহ গুরুত্বপূর্ণ সব স্থাপনা রয়েছে। বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ফলে রাস্তাঘাটে গাড়ির চাপ পূর্বের তুলনায় আরো বেড়ে গিয়েছে। একদিকে বিমানবন্দর সড়কটির বেহাল, অন্যদিকে পোর্ট কানেকটিং সড়কটি চলাচলের অযোগ্য, সদরঘাট-মাঝিরঘাট সড়কটিও খানাখন্দে ভরা। প্রধানমন্ত্রীর হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুফল যদি জনগন ভোগ করতে না পারে তাহলে এর দায় সকলকে ভোগ করতে হবে। তিনি ঐ দুইটি সড়কে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে ১০টা এবং বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ভারী যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান। তিনি সিডিএ, চসিক এবং পুলিশ প্রশাসন যৌথভাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে রাস্তা দুটি যান এবং জনগনের চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলার আহবান জানান । প্রেস বিজ্ঞপ্তি।