অণুজীব কভিড ১৯ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখার প্রয়াসে প্রায় আঠার মাস বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি নির্দেশনা মেনে বন্ধ রাখা হয়েছিলো। করোনা ভাইরাসের অতিমাত্রার সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্দেশ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার এ উদ্যোগ প্রশংসার ও চ্যালেঞ্জের। সরকারের বহুমাত্রিক সফলতার অন্যতম একটি সাফল্য করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশের প্রায় সকল শিক্ষকদের ভ্যাক্সিনের আওতায় আনা। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আবার পাঠমুখর করে তোলা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর, স্কুল খোলার তাৎক্ষণিক নির্দেশনা ও শিক্ষামন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপে অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সবার মধ্যে যেন নতুন করে প্রাণ সঞ্চার হলো। ১০-১১ তারিখ সারাদিনব্যাপী চললো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান। অন্যরকম এক অনুভূতি। স্কুলকে ঝকঝকে তকতকে করে শিক্ষার্থীদের মনে প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে হবে। করোনা, ডেঙ্গু কখনো পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তিকে আক্রমণ করতে পারে না। কচিকাঁচা মনগুলোকে উজ্জীবিত করার জন্য ১১ সেপ্টেম্বর রাতেই আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাস সিলভার বেলস্ স্কুলকে রঙিন বেলুন দিয়ে আকর্ষণীয় ভাবে সাজানো হয়। থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা নিরীক্ষণ, মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে শ্রেণিকার্যক্রমে অংশ নেয় আমাদের শিক্ষার্থীরা। এ্যাসেম্বলি পরিচালিত হয় অফিস রুমের সাউন্ড বক্স থেকে।
পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শপথ বাক্য পাঠের পর পর শুরু হয় ১ম ক্লাস। আপাতত দুটো ক্লাসে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে। স্বল্পকালীন উপস্থিতিতেও আন্তরিকতা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে মাথায় রেখেই স্কুলের কার্যক্রমের সাথে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করা হয়। শিক্ষার্থীদের শ্বাসরুদ্ধকর বন্দী জীবনের অবসান ঘটলো সেপ্টেম্বর ১৩ তে। তারই উচ্ছ্বাস ও প্রশান্তি ছিলো ওদের চোখে মুখে। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে বন্ধু তথা সহপাঠীদের কাছে পাওয়ার অভাবনীয় আনন্দের ঝিলিক সত্যি বর্ণনারও ঊর্ধ্বে। স্কুল ক্যাম্পাসে ফিরে আসার উত্তেজনা ছিলো দারুণ উপভোগের। স্বাস্থ্যসচেতন হয়েই শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আন্তরিক প্রচেষ্টার জোরেই আবারও আমরা নতুন উদ্যমে পাঠদান ও পাঠগ্রহণকে গতিশীল করার জন্য সুপরিকল্পিত কর্মসূচি গ্রহণ করলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সহ মাউশি পরিবারের সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। সুস্থ থাকুক বাচ্চারা, সুস্থ থাকুক স্কুল কর্মকর্তা ও শিক্ষকগণ, সুস্থ থাকুক মা-বাবাসহ সকল মানুষ।