ফুটপাতের উপর টিনের বেড়া। ভেতরে পাশাপাশি দুটি একতলা পাকা স্থাপনা। গঠন দেখে ধারণা করা যায়, স্থাপনাগুলো তৈরি করা হয়েছে দোকান হিসেবে ব্যবহারের জন্য। এ দৃশ্য দেখা যায় নগরীর কে সি দে রোডে। সড়কটিতে অবস্থিত গণশৌচাগারের পশ্চিম পাশে স্থাপনাগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে দিনদুপুরে দোকানগুলো নির্মাণ করা হলেও চুপচাপ ছিল ফুটপাত রক্ষণাবেক্ষণে দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।
অবশ্য চসিকের চুপ থাকার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে চমকপ্রদ তথ্য। খোদ চসিকই ফুটপাতের জায়গাটি লিজ দিয়েছে। অর্থাৎ রক্ষকই ভক্ষকের ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন পথচারীরা।
জানা গেছে, গত ২৮ জানুয়ারি জানে আলম নামে এক ব্যক্তিকে ইজারা দেওয়া হয়। সেখানে মোট জায়গা আছে ৩৭৫ বর্গফুট। প্রতি বর্গফুটের ভাড়া ধার্য করা হয়েছে মাত্র ১০ টাকা। তবে ইজারা চুক্তিতে প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে নিজ খরচে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে ইজারাগ্রহীতাকে। এতে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো যাবে না বলেও শর্ত দেয়া হয়। যদিও পুরো ফুটপাতই ঘেরাও দিয়ে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চসিকের প্রধান রজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, অনুমোদন দেয়া হয়েছে কীনা সেটা খতিয়ে দেখবো। যদি অনুমোদন না থাকে সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিব। নগরজুড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে দায়িত্বপ্রাপ্ত চসিকের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী আজাদীকে বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।