যানজটমুক্ত ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে নতুন সড়কে প্রয়োজন মোতাবেক আন্ডারপাস, ওভারপাস ও ইন্টারসেকশনে ইউলুপ নির্মাণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত করতে ফের ৫৬৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পের আওতায় নতুন করে এ জাতীয় মহাসড়কে আন্ডারপাস-ইউলুপ নির্মাণ করা হবে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানোসহ টেকসই, নিরাপদ ও ব্যয় সাশ্রয় যোগাযোগ ব্যবস্থার লক্ষ্যে নতুন করে এ উদ্যোগ। গতকাল বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রায় ২ হাজার ৫৭৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১০টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ২ হাজার ১৫০ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ ৪২৫ কোটি টাকা। শেরে-বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেকের সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্বে করেন প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। খবর বাংলানিউজের।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী যা বলেন সেগুলো আমরা নির্দেশনা বলে মনে করি। নতুন নতুন সড়ক মসৃণ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে প্রয়োজন মোতাবেক আন্ডারপাস, ওভারপাস ও ইন্টারসেকশনে ইউলুপ নির্মাণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাস্তা বানানোর সময় এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে বলেছেন। রাস্তায় এগুলো নির্মাণের ফলে মানুষের সময় বাঁচবে। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।
১৪৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৪২৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণের লক্ষ্যে অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান সৃজনে সহায়ক প্রকল্প’ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতদিন যারা প্রবাসে কাজ করে দেশে টাকা পাঠিয়েছেন। এখন আমরা তাদের টাকা দেবো। তাদের আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। যাতে করে প্রবাসীরা সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারেন।
অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো : ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কে ৩টি আন্ডারপাস এবং পদুয়ার বাজার ইন্টারসেকশনে ইউলুপ নির্মাণ’ এবং ‘জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (ময়মনসিংহ জোন) (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প, ‘ইনস্টিটিউট অব টিস্যু ব্যাংকিং অ্যান্ড বায়োমেটেরিয়াল রিসার্চের সেবা ও গবেষণা সুবিধাদির আধুনিকায়ন ও সমপ্রসারণ’, জেলাভিত্তিক মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ (৬৪ জেলা) (তৃতীয় সংশোধিত), ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ শিশু কার্ডিওলজি ও শিশু কার্ডিয়াক সার্জারি ইউনিট স্থাপন’ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।