লকডাউন শিথিল করার সাথে সাথে বাঁশখালীতে গরুর বাজার জমে উঠেছে। তবে গরুর বাজারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত না করায় শীলকূপ টাইম বাজারের গরুর বাজারে আজ শুক্রবার (১৬ জুলাই) বিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ইজারাদারকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামান চৌধুরী।
করোনার কারণে আগামী ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে গরুর বাজার বসবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান থাকলেও অবশেষে লকডাউন শিথিল করায় গরু ব্যবসায়ীরা বাজারমুখী হয়ে পড়েছে।
বাঁশখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সমরঞ্জন বড়ুয়া জানান, বাঁশখালীতে রামদাশ মুন্সির হাট ও চাম্বল গজার হাটে নিয়মিত গরুর বাজার হিসাবে চালু থাকলেও কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ছনুয়া মনু মিয়াজী বাজার, পুইছড়ি প্রেম বাজার, বহাদ্দার হাট,সরইল্যা বাজার, বৈলছড়ি কেবি বাজার, চাঁনপুর হাট, পুকুরিয়া চৌমুহনী, বাহারছড়া বশির ইল্লাহ মিয়াজী বাজার, জালিয়াখালী বাজার, পৌরসভার মিয়ার বাজার সহ গ্রামে-গঞ্জে বেশ কয়েকটি বাজারে গরু উঠতে শুরু করেছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে গরুর রোগ বালাই প্রতিরোধে মাঠে কাজ করছে দায়িত্বরতরা।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবীর বলেন, “ঈদের গরু বাজারে যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয় তার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনী মাঠে তৎপর রয়েছে।”
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “বাঁশখালীতে ১২টি গরু বাজার রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ২টি স্থায়ী বাকিগুলো অস্থায়ী। কোরবানির ঈদের গরু বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কেই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে রয়েছে। যারা এসব মানবে না তাদের জরিমানা করা হবে।”
তিনি আরো জানান, লকডাউন শিথিল হলেও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন বাধ্যতামূলক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে নিজে সুরক্ষিত থাকার পাশাপাশি অন্যকেও সুরক্ষিত রাখার আহ্বান জানান তিনি।