আন্দোলনের নামে সহিংসতা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইলে সরকার সমুচিত জবাব দেবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ক্ষমতায় যেতে ফখরুল সাহেবরা রঙিন চশমার ফাঁক দিয়ে খোয়াব দেখছেন। আন্দোলনের নামে সহিংসতা সৃষ্টি করতে চাইলে সরকার সমুচিত জবাব দেবে বলেও তিনি জানিয়ে দেন। গতকাল বুধবার নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। খবর বিডিনিউজের।
২০০৬ সালে ১ কোটি ২৫ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে বিএনপি গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক মারতে চেয়েছিলো মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় লোককে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করতে চেয়ে বিএনপি ওয়ান ইলেভেনের প্রধান কারণ সৃষ্টি করেছিলো। বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়ে বিএনপি দলীয় কেএম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করতে চেয়েছিলো বিএনপি। সেই পরিস্থিতিই বাংলাদেশে ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টির মূল কারণ। আওয়ামী লীগ নাকি গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে বিএনপি নেতাদের এমন নির্লজ্জ বক্তব্য শুনলে জনগণ হাসে। হ্যাঁ- না ভোটের মাধ্যমে বিএনপিই গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলো।
১৮৭৮ সালে সামরিক উর্দি পরে অস্ত্রের মুখে বিচারপতি সায়েমকে সরিয়ে কে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলো। বিএনপি নেতাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। বিএনপির গণতন্ত্র ছিল কারফিউ গণতন্ত্র। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন কোন গণতন্ত্র? বিরোধী দল হিসেবে গণতন্ত্রের বিকাশে বিএনপি কি ভূমিকা রেখেছে জাতি তা জানতে চায়। সর্বশেষ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বিএনপি আবারও প্রমাণ করেছে, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।
ওবায়দুল কাদের আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বিএনপি কী নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন চায়? তারাতো গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের দুঃস্বপ্ন দেখেছে। তিনি বিএনপিকে আবারও হুঁশিয়ার করে বলেন আন্দোলনের নামে সহিংসতা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইলে সরকার সমুচিত জবাব দেবে রাজপথে।