চকরিয়ায় অপহৃত চালককে উদ্ধার

অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ১

চকরিয়া প্রতিনিধি | শুক্রবার , ৪ জুন, ২০২১ at ৬:১১ পূর্বাহ্ণ

চকরিয়ার অপহরণকারী-সন্ত্রাসী চক্রের জিম্মিদশা থেকে অসুস্থ অবস্থায় এক অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে নগরীর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। এ সময় জব্দ করা হয়েছে অপহরণে ব্যবহৃত দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ধারালো অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি। এ ঘটনায় ভিকটিম এবং পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমান সোহেল রানা বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা রুজু করেছেন। এরপর অপহরণ চক্রের মূল হোতা ধৃত মিজানুর রহমানকে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
এর আগে পাঁচলাইশ থানাধীন বহদ্দারহাটের শুলকবহর এলাকার শ্যালকের বাসা থেকে গত ৩০ মে সকালে বের হয়ে নিজের মালিকানাধীন পিকআপ চালিয়ে কঙবাজারের চকরিয়া বাস টার্মিনাল এলাকায় আসেন বিদেশফেরত নূর হোসেন (৪৬)। এদিন সকাল এগারটার দিকে সেখানে পৌঁছালেই পূর্ব পরিচিত জনৈক সন্ত্রাসী মিজানুর রহমানসহ অপহরণকারী চক্রের কবলে পড়েন নূর হোসেন।
পাঁচলাইশ থানা পুলিশ জানায়, এ সময় ভিকটিম নূর হোসেনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয় অপহরণচক্রের মূল হোতা মিজানের চকরিয়ার পৌরসভার পালাকাটার ইমাম উদ্দিন পাড়ার নিজ বাড়িতে। সেখানে একটি কক্ষে বিবস্ত্র করে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলির সামনে রেখে ছবি তোলার পর খাটের সাথে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়।
পুলিশ আরো জানায়, ভিকটিম নূর হোসেনের স্ত্রীর কাছে ফোন করে বিকাশ নম্বর দিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে চাওয়া হয় নগদ এক লাখ টাকা।
সেই দাবিমতে প্রথমে স্ত্রী ১০ হাজার এবং পরবর্তীতে আরো ৫০ হাজার টাকা প্রেরণের জন্য চাপ দিলে ভিকটিমকে জীবিত উদ্ধারে স্ত্রীসহ পরিবার সদস্যরা সেই টাকা দিতে রাজি হয় এবং শ্যালক বেলাল উদ্দিন সাজু পাঁচলাইশ থানার দ্বারস্থ হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী রুজু করে। পরে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ভিকটিম এবং প্রেরিত বিকাশ নাম্বারের লোকেশন শনাক্তের পর ভিকটিমকে জীবিত উদ্ধার এবং অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারে ফাঁদ পাতা হয়।
পাঁচলাইশ থানার পুলিশ পরিদর্শক কবিরুল ইসলাম ও এসআই লুৎফুর রহমান সোহেল রানার নেতৃত্বে একটি দল এই ফাঁদ পাতেন। অবশেষে মুক্তিপণের ৫০ হাজার টাকা বিকাশের দোকান থেকে নিতে এসে মূল হোতা সন্ত্রাসী মিজানুর রহমান আটকা পড়েন পুলিশের জালে।
পরে তাকে নিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধারে বাড়িতে অভিযান শুরু করে। সেই অভিযানে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ভিকটিম নূর হোসেনকে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির ও চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনুর জাহান বেগম
পরবর্তী নিবন্ধরোহিঙ্গাদের বিদ্যুৎ সংযোগ মেম্বারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা