নানা রকমের বন-রুটি, কেক, বিস্কুট, চানাচুর ইত্যাদি খাদ্য উৎপাদনকারী বেকারিগুলোর অনুমোদন বা লাইসেন্স দেওয়ার সময় কি কি শর্ত পূরণ করতে হয় জানি না। বেকারি করার অনুমোদন বা লাইসেন্স দেওয়ার সময় কয়েকটা শর্ত যুক্ত করা জরুরি, যেমন– ‘বেকারির ভেতরে ফ্লোর ও দেয়াল অবশ্যই টাইলস করানো থাকতে হবে। বেকারি শহরে নগরে গ্রামে যেখানেই হোক। আরেকটা হলো বেকারিতে ব্যবহার হওয়া সব ধরনের ট্রাই, ডেঙি, প্লেট, গামলাসহ সামগ্রিক ক্রোকারিজ পণ্য ভালো মানের হতে হবে। বেকারির ভেতরে বাইরে দরজা-জানালা, চেয়ার-টেবিল, গ্রিল কোথায়ও মরীচিকা থাকা যাবে না। নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, পচা বাসি খাবার ও ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন বেকারিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক জরিমানা করতে দেখা যায়। কিন্তু বেকারিতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ রক্ষা করতে হলে কি কি উদ্যোগ নিতে হবে বেকারি মালিককে– সে পরামর্শ না-দিলে কেমনে হবে? বেকারি মালিকদের জন্য নির্দিষ্ট গাইড লাইন থাকা দরকার কীভাবে বেকারির পরিবেশ সবসময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর রাখা যাবে বা কি কি নিয়ম মেনে বেকারির ভেতরে বাইরের পরিবেশ স্বাস্থ্যকর রাখতে হবে। এই অনলাইনের যুগেও বাংলাদেশের অধিকাংশ বেকারিতে গিয়ে ঘুরে দেখার পর বেকারির খাবার খেতে ইচ্ছে করবে না আর। অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ বিরাজ করে অধিকাংশ বেকারিতে। এটাও বলে রাখছি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্যসম্মত খাবার মানে দামি খাবার নয়। খাদ্য দ্রব্য যে দামেরই হোক তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশে উৎপাদন করা জরুরি। এই দেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সকল নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করতে হবে বা সারা দেশে উৎপাদিত খাদ্যের মান ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। আর খাবার স্বাস্থ্যকর করতে হলে সবার আগে খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মান ঠিক করতে হবে। খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত মনিটরিং এর মধ্যে রাখতে হবে। এছাড়া সারা দেশে খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে।