যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে

| শুক্রবার , ৪ জুন, ২০২১ at ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে কিছু পণ্যে আয়কর, শুল্ক, ভ্যাট অথবা সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে। গতকাল জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। খবর বিডিনিউজের।
১. শিল্প লবণের দাম অনেক বাড়তে পারে। কারণ এর সোডিয়াম সালফেট/ডাইসোডিয়াম সালফেটের বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার পাশাপাশি নতুন করে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ৩ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
২. ফিচার ফোন আমদানিতে শুল্কহার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করায় এর দাম বাড়তে পারে।
৩. পরিবহনে ব্যবহৃত সেইফটি গ্লাস ও ল্যামিনেটেড সেইফটি গ্লাসের দাম বাড়তে পারে। এগুলোর আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।
৪. খাদ্য, ওষুধ, প্রসাধনী উৎপাদন ও প্রকৌশল কাজসহ বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত পেট্রোলিয়াম পণ্য প্যারাফিনের কয়েকটি ধরন এবং খনিজ তেলের উপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
৫. বিদেশি মাশরুমের দাম বাড়তে পারে। এই মাশরুম আমদানিতে শুল্ক ৫ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ন্যূনতম শুল্কায়ন মূল্য আরোপের কথা বলা হয়েছে।
৬. বিদেশি মাংসের দাম বাড়তে পারে। দেশীয় খামারিদের সুরক্ষা দিতে প্রক্রিয়াজাত করা মাংস আমদানিতে নতুন করে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রস্তাব করা হয়েছে। পাখির মাংসে বসানো হয়েছে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট। আবার প্রক্রিয়াজাত করা মাংস আমদানিতে ন্যূনতম শুল্কায়ন মূল্যের প্রস্তাব করা হয়েছে।
৭. বিদেশি গাজর ও শালগমের দাম বাড়তে পারে। এ দুটিতে নতুন করে ২০ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
চাষিদের সুরক্ষা দিতে গাজর, ক্যাপসিকাম, কাঁচামরিচ, টমেটো ও কমলা আমদানিতে ন্যূনতম শুল্কায়ন মূল্য আরোপের কথাও বলা হয়েছে।
৮. বিদেশি সব ধরনের সাবান ও সাবানজাতীয় পণ্যের সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে দাম বাড়তে পারে।
৯. চুইং গামের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে দাম বাড়বে।
১০. বিদেশি বিস্কুট ও সমজাতীয় চিনির তৈরি কনফেকশনারি পণ্যের সম্পূরক শুল্ক ২০ বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে দাম বাড়তে পারে।
১১. বিদেশি রড ও সমজাতীয় পণ্যের আমদানি শুল্ক ১০ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে এসব পণ্যের বাড়তে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাল নালা পরিষ্কার ও বাঁধ অপসারণের তাগিদ
পরবর্তী নিবন্ধযেসব পণ্যের দাম কমতে পারে